ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে একটি বাড়ি। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে অসহায় দুই ফিলিস্তিনি শিশু। শনিবার দক্ষিণ গাজার রাফায়
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে একটি বাড়ি। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে অসহায় দুই ফিলিস্তিনি শিশু। শনিবার দক্ষিণ গাজার রাফায়

‘আইসিজের আদেশ গুরুত্বপূর্ণ, তবে যথেষ্ট নয়’

ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা ঠেকাতে পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) নির্দেশের পরও বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। আজ শনিবার ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান একের পর এক বোমা ফেলেছে গাজার খান ইউনিস এলাকায়। এতে আরও দীর্ঘ হয়েছে মৃত্যুর তালিকা।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার করা গণহত্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গাজায় গণহত্যা ঠেকাতে গতকাল শুক্রবার আদেশ দেন আইসিজে। তবে সেই আদেশে গাজায় ইসরায়েলি অভিযান বন্ধের কথা বলা হয়নি। এরপরও গণহত্যা ঠেকাতে যেসব ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার নৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, আইসিজের নির্দেশনাগুলো মানতে হলে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে হবে ইসরায়েলকে।

কিন্তু আইসিজের আদেশের পরও ইসরায়েল গাজায় ধ্বংসাত্মক অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া আজকের হিসাব অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ২৬ হাজার ২৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে আগের ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ১৭৪ জন। এ ছাড়া গত সাড়ে তিন মাসে উপত্যকাটিতে আহত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৭৯৭ জন। হতাহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

ইসরায়েল আজ সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালায় দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে। বোমা ফেলে ও ট্যাংকের গোলা ছুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে এলাকাটিতে। হামলা চালানো হয়েছে এ এলাকার আল-আমাল ও নাসের হাসপাতালের কাছে। ইসরায়েলি হামলায় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে দক্ষিণের রাফা এলাকা থেকেও। এমন পরিস্থিতিতে গাজার বাসিন্দা জয়নব খলিলের (৫৭) ভাষ্য, ‘আইসিজের আদেশ গুরুত্বপূর্ণ, তবে যথেষ্ট নয়। আমরা যুদ্ধবিরতি চাই।’

ইসরায়েলি বাহিনী আজ জানিয়েছে, খান ইউনিসে ১১ বন্দুকধারীকে হত্যা করেছে তারা।