হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা ঠেকানোর শেষ চেষ্টা চালাচ্ছেন জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি। হানিয়াকে হত্যার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সেখানে ব্যাপক সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতেই তেহরানে গেছেন সাফাদি। দুই দশকের মধ্যে ইরানে এটাই কোনো জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর।
জর্ডানকে মূলত পশ্চিমা মিত্রদেশ হিসেবে দেখা হয়। তবে সেখানে অনেক ফিলিস্তিনি জনগণ রয়েছে। গাজা সংঘাতের মুখে জর্ডান এত দিন ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে। এখন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার অভ্যন্তরীণ চাপে রয়েছে জর্ডান কর্তৃপক্ষ। গত এপ্রিলে ইসরায়েলে ইরান যখন হামলা করেছিল, তখন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে সাহায্য করছিল জর্ডান। কিন্তু জনগণ বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি। জনগণের ক্ষোভের মুখে পড়েছে সরকার।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সমর্থন দেওয়ায় জর্ডানে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে। হানিয়াকে হত্যার ঘটনায় জর্ডানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ জানানো হয়েছে। জর্ডান বলেছে, এটা উসকানিমূলক অপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
আয়মান সাফাদি যে উদ্দেশে ইরান গেছেন, তা সফল হয়নি। আজ রোববার ইরানের কর্তৃপক্ষ বলেছে, সমঝোতার কোনো পথ খোলা নেই। তেহরানের অতিথি হানিয়াকে হত্যার জবাব দেওয়া হবে।
এর আগে গত এপ্রিলে জর্ডানের আকাশসীমায় আসা বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে তারা। জর্ডান জানায়, তাদের দেশকে অন্য দেশের যুদ্ধক্ষেত্রে হতে দেবে না। তবে তারা একই সঙ্গে ফ্রান্সের নৌবাহিনীকে রাডার স্থাপনের অনুমতি দেয়।
ইরান বলছে, হানিয়াকে হত্যার ঘটনা সব সীমা অতিক্রম করে গেছে। দেশটির পক্ষ থেকে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) এক বৈঠক ডাকা হয়েছে। এ বৈঠকে তেহরান পারস্য দেশগুলোর ওপরে চাপ দিতে পারবে। বিশেষ করে সৌদি আরব ও আরব আমিরাতকে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা বলতে পারবে।