গাজা উপত্যকাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার বিকেল চারটায় প্রথম ধাপে ১৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে।
প্রথম ধাপে মুক্তি পেতে যাওয়া ১৩ জিম্মির নাম-পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাঁরা শিশু ও নারী বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
দেড় মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার পর স্থানীয় সময় আজ সকাল সাতটায় গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু কার্যকর হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, চার দিনের যুদ্ধবিরতিকালে মোট ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর মধ্যে আজ বিকেল চারটায় প্রথম ধাপে ১৩ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার এই চুক্তির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী কাতার। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আজ যে জিম্মিদের হামাস মুক্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে, সেই দলে ১৩ শিশু ও নারী থাকবেন। নারীদের মধ্যে কয়েকজন বয়স্ক আছেন। মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের মধ্যে একই পরিবারের সদস্যরা থাকবেন। মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিরা বেসামরিক নাগরিক।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নের সুবিধার্থে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে মুক্তি পেতে যাওয়া প্রথম দলের জিম্মিদের নামের একটি তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নিশ্চিত করেছে যে মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের নামের একটি প্রাথমিক তালিকা তারা পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোকে ইতিমধ্যে এ-সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়েছে।
জিম্মি ও বন্দী বিনিময়ের শর্তে চার দিনের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি হয়েছে। চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র।
চুক্তির আওতায় ৭ অক্টোবরের হামলার সময় হামাসের হাতে জিম্মিদের মধ্যে ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে। পরিবর্তে ইসরায়েল কমপক্ষে ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে। এ ছাড়া তারা গাজায় আরও মানবিক সহায়তার অনুমতি দেবে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের ভাষ্যমতে, হামাসের এ হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রেখেছে হামাস।
জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে আসছিল ইসরায়েল। পাশাপাশি তারা গাজায় স্থল অভিযান চালাচ্ছিল।
গাজার হামাস সরকারের তথ্যানুযায়ী, অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ১৪ হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে।