ফিলিস্তিনি ফুটবলার মাহমুদ ওয়াদি
ফিলিস্তিনি ফুটবলার মাহমুদ ওয়াদি

গাজা ছেড়ে থাকার কষ্টের কথা বললেন ফিলিস্তিনি ফুটবলার

মাহমুদ ওয়াদি—ফিলিস্তিনের তারকা ফুটবলার। ফিলিস্তিনের জাতীয় দলে খেলেন তিনি। গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে মাহমুদের বাড়ি। গত ৭ অক্টোবর গাজায় যখন ইসরায়েলি বাহিনী হামলা শুরু করে, তখন মিসরের কায়রোয় ছিলেন। সেখানে ২৯ বছর বয়সী এ ফুটবলারের আঘাত (ইনজুরি) থেকে সেরে ওঠার প্রক্রিয়া চলছিল।  

গাজায় নির্বিচার হামলার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেছে। পুরো সময় বেশ উদ্বেগে কেটেছে মাহমুদের। খান ইউনিসে থাকা স্বজন-বন্ধুদের খোঁজখবর জানতে উদ্‌গ্রীব হয়ে থাকেন তিনি।

মাহমুদের এর আগে তিনবার (২০০৮, ২০১২ ও ২০১৪ সালে) ইসরায়েলি অভিযানের অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রতিবারই প্রাণের ভয়ে রাতের পর রাত নির্ঘুম কেটেছে। সেই দুঃসহ স্মৃতি তাড়া করে ফেরে মাহমুদকে।  

এখন কায়রোয় থাকছেন মাহমুদ। খেলছেন মিসরের প্রিমিয়ার লিগে। গত বছর কাতারে অনুষ্ঠিত এএফসি এশিয়ান কাপে ফিলিস্তিনের হয়ে খেলেছেন তিনি। ওই টুর্নামেন্টে রাউন্ড-অব-১৬-তে হারলেও ফিলিস্তিনি দল তুমুল সমর্থন পেয়েছিল।

নিজের শৈশব, যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ডে বেড়ে ওঠা, ফুটবল খেলাসহ নানা বিষয়ে আল-জাজিরার সঙ্গে কথা বলেছেন মাহমুদ ওয়াদি। সেখানে স্বাভাবিকভাবে উঠে এসেছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের প্রসঙ্গ—

প্রশ্ন

ফিলিস্তিনের গাজায় জন্ম, সেখানেই বেড়ে উঠেছেন। আজকের অবস্থানে উঠে আসতে আপনার কাছে ফুটবলের ভূমিকা কী?

মাহমুদ: যুদ্ধ আর ইসরায়েলি দখলদারি থেকে মুক্তির একমাত্র পথ ফুটবল। তরুণ ও শিশুরা ফুটবলের দিকে ঝুঁকছে। কারণ, তারা মনে করছে, এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায় ফুটবল। একমাত্র ফুটবল খেলে তারা ভালো অনুভব করে।
গাজায় আমরা ফুটবল বেশ ভালোবাসি। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হচ্ছে। অবরোধ দিয়ে রাখা হয়েছে। গাজা ও সেখানকার মানুষদের পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। এ পরিস্থিতি ও কঠিন অর্থনৈতিক অবস্থা গাজার শিশুদের স্বপ্ন পূরণের (ফুটবলের) পথে বাধা।
ইসরায়েলি দখলদারি সব সময় গাজাবাসীর সামনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। গাজাবাসীর যেকোনো অর্জনে বাধা দেয়। শেষ পর্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্বপ্নবাজ ফিলিস্তিনিরা গাজা ছেড়ে চলে যান। আমরা অন্যত্র গিয়ে বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হই।

প্রশ্ন

আপনি কেন গাজা ছেড়েছিলেন? সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া কতটা কঠিন ছিল?

মাহমুদ: একটি সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য দেশ, জন্মভূমি, পরিবার ও বন্ধুদের ছেড়ে যাওয়া কখনোই সহজ কিছু নয়। এটা নিজের মধ্যে একটা বিচ্ছিন্নতাবোধ ও একাকিত্বের অনুভূতি তৈরি করে। কিন্তু আমরা নিজেদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে এমন আত্মত্যাগ করি। আমরা এমন মানুষ, যারা নিজেদের জীবনকে ভালোবাসি। অন্য মানুষদের মতোই বাঁচতে চাই। নিজের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে চাই। কঠিন বিষয় হলো, এ জন্য প্রিয়জনদের পেছনে ফেলে আসতে হয়।

এখন আমি বিদেশি আছি। কিন্তু আমার পরিবারের সদস্যরা গাজায় আছে। সেখানে তাঁরা হত্যা, ধ্বংস আর বাস্তুচ্যুতির মুখোমুখি। আমি ফুটবল খেলার জন্য গাজা, আমার পরিবার ও বন্ধুদের ছেড়ে এসেছি, এরপরও আমি ভয় ও উদ্বেগের মধ্যে বাস করছি।

ফিলিস্তিন একটি সুন্দর দেশ নয়, এমন কারণ দেখিয়ে আমরা ফিলিস্তিন ছেড়ে আসি না। আমরা নিজেদের ভূখণ্ডকে পাগলের মতো ভালোবাসি। আমরা আরও উন্নত জীবনের সন্ধানে দেশ ছেড়ে আসি।

প্রশ্ন

ফিলিস্তিন থেকে একজন আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলোয়াড় হওয়ার পথের লড়াইটা কেমন ছিল?

মাহমুদ: ইসরায়েলি দখলদারি ও প্রতিবন্ধকতার কথা বিবেচনা করলে এটা মোটেও সহজ নয়। কারণ, এসব ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ফিলিস্তিনে আপনি ফুটবল ক্যাম্পের জন্য খেলোয়াড় পাবেন না।

এমনকি গাজার খেলোয়াড়েরা অধিকৃত পশ্চিম তীরে ঢুকতে পারেন না। পশ্চিম তীরের খেলোয়াড় গাজায় যেতে পারেন না। এ ছাড়া বাইরের কোনো খেলোয়াড়ও ফিলিস্তিনে যেতে পারেন না। এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যখন ফিলিস্তিনের জাতীয় দল গঠন করা হয়, তখনো বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে খেলোয়াড় জোগাড় করতে হয়। ফিলিস্তিনের জাতীয় দলে গাজা, পশ্চিম তীর ছাড়াও বিভিন্ন শরণার্থীশিবির থেকে আসা ও দেশের বাইরে অবস্থানরত খেলোয়াড় আছেন।

বিশ্বের আর কোনো দলকে এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। আমাদের মতো করে একটি মর্যাদাপূর্ণ আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হয় না। যদিও এটাকে ফিলিস্তিনিদের জন্য মহান একটি অর্জন ও গর্বের বিষয় ধরা হয়।

আমরা সব সময় নিজেদের স্বপ্ন ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার পেছনে ছুটেছি। আমরা এখন যেখানে আছি, সেখানে পৌঁছানোর জন্য আমরা তিন তিনটি যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উঠে আসতে হয়েছে। এখন আমরা এ পথে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখি। ফিলিস্তিনের মানুষের সাহস ও অবিচলতা থেকে আমাদের শক্তি পাই।

গাজার খেলোয়াড়েরা অধিকৃত পশ্চিম তীরে ঢুকতে পারেন না। পশ্চিম তীরের খেলোয়াড় গাজায় যেতে পারেন না। এ ছাড়া বাইরের কোনো খেলোয়াড়ও ফিলিস্তিনে যেতে পারেন না। এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যখন ফিলিস্তিনের জাতীয় দল গঠন করা হয়, তখনো বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে খেলোয়াড় জোগাড় করতে হয়। ফিলিস্তিনের জাতীয় দলে গাজা, পশ্চিম তীর ছাড়াও বিভিন্ন শরণার্থীশিবির থেকে আসা ও দেশের বাইরে অবস্থানরত খেলোয়াড় আছেন।  
প্রশ্ন

গাজায় পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা এখন কতটা কঠিন?

মাহমুদ: এটা খুবই কঠিন। বিশেষ করে যখন গাজায় যোগাযোগের সমস্ত মাধ্যম বিচ্ছিন্ন থাকে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমি সব সময় আমার ফোন হাতের নাগালে রাখছি। এমনকি মিসরে থাকার সময়, দলের সদস্যদের সঙ্গে ভ্রমণে কিংবা প্রশিক্ষণের সময়ও ফোন কাছে রাখার চেষ্টা করি।
একদিন সকালে আমার ভাইকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। যোগাযোগের উপায় না থাকায় আমার পরিবারের সদস্যদের কেউ কিছু জানতে ও জানাতে পারছিল না। আমি দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা পর আমার ভাইয়ের খবর পাই। পুরো সময় আমি ভীষণ উদ্বেগে কাটিয়েছি।
এটাই আমাদের পরিস্থিতি। উদ্বেগ আর অকল্পনীয় অবস্থার ভেতর দিয়ে আমাদের যেতে হয়। আপনার প্রিয়জনেরা কে কোথায় আছেন তা জানতে না পারা, অসহায় বোধ করা আর কিছু করতে না পারার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আপনি শুধু প্রার্থনা করতে পারেন। আসলে আমাদের জীবনের প্রতিটি সেকেন্ড যেন একেকটি পরীক্ষা।

এএফসি এশিয়ান কাপে হেরে যাওয়ার পর ফিলিস্তিনের ফুটবলার মোহাম্মদ সালেহকে বুকে জড়িয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছেন মাহমুদ ওয়াদি (ডানে)। গত বছর, কাতারে
প্রশ্ন

গাজায় থাকা পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার পর আপনার কেমন অনুভূতি হয়?

মাহমুদ: তাঁরা প্রতিদিন যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, সাধারণত সেসব বলার চেষ্টা করেন। যদিও এসব বলাটা কোনো সুখকর বিষয় নয়। তাঁদের জন্য এটা খুবই কঠিন। যুদ্ধের বাস্তবতা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। মূলত গাজা উপত্যকায় তাঁদের কঠিন ও তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা কথা বলি। গাজার অন্যান্য মানুষের মতো তাঁরাও বেশ সাহসী।

প্রশ্ন

দুই মাসের বেশি সময় পর আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের দেখা পেয়েছেন। তখন আপনার অনুভূতি কেমন ছিল?

মাহমুদ: যুদ্ধ শুরুর ৮০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর মিসরে আমি আমার মা, ভাই ও পরিবারের অন্য সদস্যদের দেখা পাই। যুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমার মাথায় একটা দৃশ্যপট আগে থেকেই ছিল। কিন্তু আমি যখন পরিবারের সদস্যদের ক্লান্ত চোখ-মুখ, ভঙ্গুর শরীর আর সাদা চুল দেখি, তখন বুঝতে পারি এখনকার পরিস্থিতি আমার কল্পনার চেয়ে ভয়াবহ।
আমাকে তিনটি যুদ্ধের ভেতর দিয়ে আসতে হয়েছে। বোমা হামলা আর ছাদ ধসে পড়ার ভয়ে রাতের পর রাত কাটাতে হয়েছে। কিন্তু এবারের যুদ্ধ আগেরগুলোর মতো নয়।

উদ্বেগ আর অকল্পনীয় অবস্থার ভেতর দিয়ে আমাদের যেতে হয়। আপনার প্রিয়জনেরা কে কোথায় আছেন তা জানতে না পারা, অসহায় বোধ করা আর কিছু করতে না পারার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আপনি শুধু প্রার্থনা করতে পারেন। আসলে আমাদের জীবনের প্রতিটি সেকেন্ড যেন একেকটি পরীক্ষা।
প্রশ্ন

আপনার মনে গাজার কোনো স্মৃতি এখনো রয়ে গেছে?

মাহমুদ: গাজার মানুষ, তাঁদের স্নেহ আর ভালোবাসার বন্ধন। এটা দারুণ লাগে। আর গাজার স্মৃতি বলতে সেখানকার সাগর, রাস্তাঘাট, ভবন আর বিদ্যুতের সময়সূচি। সেখানে আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। পরের আট ঘণ্টা বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।

এত কিছুর পরও গাজা প্রতিদিনই উন্নত হচ্ছিল। বেশ পরিচ্ছন্ন সড়ক, সুন্দর সুযোগ-সুবিধা, রেস্তোরাঁ, সমুদ্রের ধারের নিচু কাঠের ঘর (শালেট)—এসব আমার স্মৃতিতে রয়ে গেছে। যুদ্ধ, মৃত্যু ও ধ্বংস সত্ত্বেও গাজা এখনো সুন্দর এবং এটি আরও সুন্দর হবে।

আমরা যেমনটা আগে গড়ে তুলেছি, তেমনি আমরা গাজাকে দ্বিতীয়বার, তৃতীয়বার এবং আরও বহুবার গড়ে তুলব।

প্রশ্ন

আপনি যদি গাজায় ফিরে যেতে পারেন, সেখানে গিয়ে কী করবেন?

মাহমুদ: যুদ্ধ শেষ হলে আমি গাজায় ফিরে যেতে চাই। সেখানে যুদ্ধে শহীদ হওয়া আমার প্রিয় বন্ধু হামেদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে চাই। আমি আমার ভাই, তাঁদের সন্তানদের আর আমার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। এত এত ধ্বংসযজ্ঞের পর সেখানকার পরিস্থিতি দেখতে চাই।
গাজাবাসীর সঙ্গে তাঁদের দুঃখ আর যুদ্ধের স্মৃতির ভাগ করে নিতে চাই আমি। এর মধ্য দিয়ে আমিও তাঁদের অবর্ণনীয় কষ্টের ভাগীদার হতে চাই।

প্রশ্ন

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ধ্বংস হওয়া ইয়ারমুক স্টেডিয়ামের ভয়াবহ ভিডিও দেখে আপনার কেমন লেগেছিল?

মাহমুদ: শুধু এই স্টেডিয়ামই ধ্বংস করা হয়নি; গাজা উপত্যকাজুড়ে হাজারো মসজিদ, গির্জা, অফিস ভবন, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, বিদ্যালয় ধ্বংস করা হয়েছে। সেখানে একটি গাছ কিংবা পাথরও রেহাই পায়নি।

শত শত সমর্থকের উল্লাসের মধ্যে আমি ওই স্টেডিয়ামে অনেকবার গোল করেছি। স্টেডিয়ামটি ঘিরে ইসরায়েলি ট্যাংকের ছবি আমার স্মৃতিতে এখনো তাজা। এমন বর্বরতা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। কিন্তু এসব দৃশ্য যতই ভয়াবহ হোক না কেন, তা গাজায় প্রতিদিন মারা যাওয়া শিশুদের টুকরা টুকরা চিত্রের কাছে কিছুই না।

আমি একমুহূর্তের জন্যও এসব শিশুকে ভুলতে পারি না। তারা আমার মধ্যে বসবাস করে।

প্রশ্ন

আপনি যখন খেলতে নামেন, তখন কি গাজায় যুদ্ধের দৃশ্যপট মাথা থেকে সরিয়ে রাখতে পারেন?

মাহমুদ: এই যুদ্ধ আমার পরিবারকে, বন্ধুদের, আমার মানুষদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
আমার ভাই (কাজিন), আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু যুদ্ধে শহীদ হয়েছে। আমার শৈশবের অনেক স্মৃতি ধ্বংস হয়ে গেছে। দখলদারি গাজার মানুষদের জীবন ধ্বংস করে ফেলেছে।

এমনকি কেউ যদি প্রাণে বেঁচেও যান, তাঁর পক্ষে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে না। সেখানে কোনো চাকরি নেই, শিক্ষার সুযোগ নেই, অফিস নেই, বাজার নেই। তারা (ইসরায়েলিরা) গাজায় সমস্ত জীবন ধ্বংস করে ফেলেছে। আমরা এ কষ্ট ভুলতে পারব না। তবে এ পরিস্থিতি আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে অনুপ্রাণিত করে।  

খেলার মাঠে ফিলিস্তিন দলের মধ্যে কিছুটা আগ্রাসী ভাব দেখা যায়। এটা ফিলিস্তিনের মানুষের মনোভাবের প্রকাশ। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমরা মানুষদের খুশি করতে চাই। আমরা নিজেদের এভাবেই উদ্দীপ্ত করি। ফিলিস্তিনের মানুষের দুঃখকষ্ট ও অবিচলতা থেকে আমরা শক্তি অর্জন করি।