রাফাহ সীমান্ত দিয়ে মিসর থেকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ করা হয়।
রাফাহ সীমান্ত দিয়ে মিসর থেকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ করা হয়।

গাজায় সহায়তা দিতে দুই পক্ষের সঙ্গে কাতার ও ফ্রান্সের চুক্তি

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে কাতার ও ফ্রান্স। এর আওতায় হামাসের হাতে জিম্মি থাকা প্রায় ৪৫ জন ইসরায়েলির জন্য জরুরি ওষুধ পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে গাজা উপত্যকায় চরম ঝুঁকিতে থাকা বেসামরিক মানুষদের জন্য পাঠানো হবে মানবিক ও চিকিৎসাসহায়তা।

দেশ দুটি জানিয়েছে, এসব সহায়তাসামগ্রী আজ বুধবার কাতার থেকে মিসরে পাঠানো হবে। এরপর রাফাহ সীমান্ত দিয়ে সেগুলো গাজায় নিয়ে যাওয়া হবে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক বিবৃতিতে বলেন, এই চুক্তির অর্থ হলো গাজার সবচেয়ে আক্রান্ত ও ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোয় বেসামরিক মানুষদের মধ্যে ওষুধ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তাসামগ্রী বিতরণ করা হবে। এর বিপরীতে গাজায় আটক থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হবে।

তবে গাজায় বেসামরিক মানুষদের কী ধরনের ও কী পরিমাণে সহায়তাসামগ্রী দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিছুই জানাননি।

এর আগে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জরুরি সহায়তা কেন্দ্রের (ক্রাইসিস সেন্টার) প্রধান ফিলিপ্পে লালিয়ত জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে আলাপ-আলোচনার পর এই চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। কয়েকজন ইসরায়েলি জিম্মির পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে এই চুক্তির প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।

৪৫ জন ইসরায়েলি জিম্মির প্রত্যেকের প্রয়োজনমতো কয়েক মাসের জন্য আলাদা আলাদা চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। এসব সহায়তাসামগ্রী ফ্রান্সে জড়ো করা হয়েছিল। গাজায় রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি এসব চিকিৎসাসামগ্রী বিতরণে সমন্বয়কের কাজ করবে।

এখনো গাজায় তিন ফরাসি নাগরিক আটক রয়েছেন। তবে তাঁদের কারোরই জরুরি ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রীর প্রয়োজন নেই বলে জানান ফিলিপ্পে।