মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন

উত্তেজনার মধ্যে আবার মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আজ বৃহস্পতিবার নতুন করে মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করছেন। গাজায় প্রায় তিন মাস ধরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধ আঞ্চলিকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে এ সংকটকালীন সফরে যাচ্ছেন তিনি।

গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর এটি মধ্যপ্রাচ্যে এককভাবে ব্লিঙ্কেনের চতুর্থ এবং ইসরায়েলে পঞ্চম সফর। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফরকালেও তিনি সঙ্গী ছিলেন।

গতকাল বুধবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, আজ সন্ধ্যায় ব্লিঙ্কেন মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করবেন। তাঁর এ সফরের তালিকায় ইসরায়েলও আছে।
ব্লিঙ্কেনের নতুন সফরের ব্যাপারে ওই কর্মকর্তা আর বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে এর আগের সফরগুলোতেও ব্লিঙ্কেন কয়েকটি আরব দেশ সফর করেছিলেন।

গত মঙ্গলবার লেবাননের বৈরুতের উপকণ্ঠে সম্ভাব্য ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষস্থানীয় এক হামাস নেতা নিহত হন। এতে যুদ্ধ আঞ্চলিকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গতকাল সকালে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, এই সংঘাতের মাত্রা এখন যে অবস্থায় আছে, তা আরও ছড়িয়ে পড়লে তা কারও স্বার্থ হাসিল করবে না। এতে অঞ্চলের কোনো দেশ কিংবা বিশ্বের কোনো দেশেরই স্বার্থ হাসিল হবে না।

হামাসের উপনেতাকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। জো বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, এটি ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে মনে হচ্ছে। শিয়াপন্থী ইরানের ঘোর বিরোধী কোনো ইসলামি চরমপন্থী সংগঠন এ হামলা চালিয়েছে।

বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে প্রকাশ্য এবং কূটনৈতিক সমর্থন জুগিয়ে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে।

সম্প্রতি ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গ্যভির ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে অন্যত্র গাজার মানুষকে স্থানান্তরিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গ্যভিরের এমন বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করেছে।

৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। ইসরায়েল সরকারের দেওয়া হিসাব অনুসারে ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ১৪০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগ সাধারণ নাগরিক। জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, ওই হামলায় ২২ হাজার ৩০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।