হলিউডের আলোচিত সিনেমা ‘বার্বি’ কুয়েতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লেবাননেও সিনেমাটি নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে।
সিনেমাটির সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে আরব বিশ্বে সমালোচনা চলছে। এই সমালোচনার মধ্যেই ‘বার্বি’ সিনেমাটি নিষিদ্ধ করল কুয়েত।
কুয়েতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, জননৈতিকতা ও সামাজিক ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে ‘বার্বি’ সিনেমাটি সে দেশে নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
সিনেমাটির বিরুদ্ধে ‘সমকামিতা’ প্রচারের অভিযোগ এনেছেন লেবাননের সংস্কৃতিমন্ত্রী। এই অভিযোগে তিনি তাঁর দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সিনেমাটি নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। এর মধ্যে কুয়েত সিনেমাটি নিষিদ্ধ করল।
তবে সৌদি আরবসহ অঞ্চলটির রক্ষণশীল বিভিন্ন দেশে ব্লকবাস্টার সিনেমাটি দেখানো হচ্ছে।
গ্রেটা গারউইগ পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তির মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিলিয়ন ডলার আয়ের রেকর্ড গড়েছে।
কুয়েতের চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের প্রধান লাফি আল-সুবাইই বলেন, সাধারণত কোনো সিনেমায় তাঁর দেশের সংস্কৃতিকে তুচ্ছ-অশ্রদ্ধার দৃশ্য থাকলে তা তাঁরা কাটতে বলেন। কিন্তু যখন কোনো সিনেমা অগ্রহণযোগ্য আচরণকে উৎসাহিত করে বলে রাষ্ট্র মনে করে, তখন তা সরাসরি নিষিদ্ধ করা হয়।
কুয়েতের তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র গত বুধবার রাতে বলেন, ‘বার্বি’ সিনেমাটি কুয়েতি সমাজ-জনশৃঙ্খলার জন্য বিজাতীয় ধারণা-বিশ্বাস প্রচার করে।
কুয়েত সরকারের কাছ থেকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আসার আগে একই দিন (বুধবার) লেবাননের সংস্কৃতিমন্ত্রী মোহাম্মদ মোর্তাদা জানান, তিনি তাঁর দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বার্বির প্রদর্শন নিষিদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
লেবাননের সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, সিনেমাটি সমকামিতা ও ট্রান্স-সেক্সুয়ালিটি প্রচার করে। পিতার অভিভাবকত্ব প্রত্যাখ্যানের বিষয়টিকে সমর্থন করে। মায়ের ভূমিকাকে উপহাস, অবমূল্যায়ন করে। বিয়ে ও পরিবারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
লেবাননের সংস্কৃতিমন্ত্রীর এমন আহ্বানের পর দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসাম মৌলভি সেন্সরশিপ কমিটিকে সিনেমাটি পর্যালোচনা করে সুপারিশ দিতে বলেছেন।
৩১ আগস্ট থেকে লেবাননের সিনেমা হলে ‘বার্বি’ প্রদর্শিত হওয়ার কথা। এখন বিষয়টি দেশটির সেন্সরশিপ কমিটির পর্যালোচনা ও সুপারিশের ওপর নির্ভর করছে।