ইউরোপভিত্তিক খ্যাতিমান ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী মাজেদ আল–জির তাঁর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের নিন্দা জানিয়েছেন। এ পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিন ও এর জনগণের পক্ষে অব্যাহতভাবে তাঁর কাজ করাকে নিরুৎসাহিত করারই চেষ্টা এটি।
যুক্তরাজ্য ও জর্ডানের দ্বৈত নাগরিক মাজেদ আল-জির তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। বলেছেন, এসব অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা।
অধিকারকর্মী মাজেদ আল–জির গতকাল বৃহস্পতিবার আল–জাজিরাকে বলেন, ‘এটি (যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা) উন্মত্ততা। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে আমার সামাজিক ও পেশাজীবনে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। এসব অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই।’
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ বলেছে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে যে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে তারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, অধিকারকর্মী আল-জির তাঁদের একজন। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটিকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকে।
আল–জির বলেন, এ সপ্তাহে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানতে পেরেছেন। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ বলেছে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে যে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে তারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, অধিকারকর্মী আল–জির তাঁদের একজন। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটিকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকে।
এটি (যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা) উন্মত্ততা। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে আমার সামাজিক ও পেশাজীবনে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। এসব অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই।মাজেদ আল-জির, যুক্তরাজ্য ও জর্ডানের দ্বৈত নাগরিক এবং অধিকারকর্মী
মার্কিন অর্থ বিভাগের অভিযোগ, যুক্তরাজ্য ও জার্মানিতে বসবাসকারী আল–জির হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি এবং ইউরোপে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠনটির পক্ষে অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে থাকেন তিনি।
তবে ইউরোপিয়ান–প্যালেস্টিনিয়ান কাউন্সিল ফর পলিটিক্যাল রিলেশনসের চেয়ারম্যান আল–জির গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আল–জাজিরাকে এই অধিকারকর্মী বলেন, তিনি ইউরোপে কাজ করার সময় কখনো হামাসের পক্ষে কোনো অর্থসংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড চালাননি। আবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক গোষ্ঠী প্যালেস্টিনিয়ান রিটার্ন সেন্টারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনকালেও এমন কোনো কাজ করেননি তিনি।
আল–জির বলেন, কোনো অধিকারকর্মী ফিলিস্তিনের পক্ষে কাজ করুক, ইসরায়েল তা চায় না। আর এটিই আসল ঘটনা।