সিরিয়ার যুদ্ধ থেকে ইরাককে দূরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি। গতকাল বৃহস্পতিবার টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক ভিডিও বার্তায় তিনি ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির প্রতি এই আহ্বান জানান।
এর আগে গত সোমবার সিরিয়াকে সাহায্য করতে ইরাক থেকে সেনা পাঠানোর অনুরোধ জানায় ইরান–সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী কাতেব হিজবুল্লাহ। কাতেব ইরান–সমর্থিত সাবেক আধা সামরিক বাহিনীগুলোর জোট হাশেদ আল-শাবির অংশ। বর্তমানে গোষ্ঠীটি ইরাকের নিয়মিত সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত।
ইরাক সরকারের প্রতি কাতেব হিজবুল্লাহর ওই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে জোলানি পাল্টা এই আহ্বান জানান। ভিডিও বার্তায় জোলানি ইরাকের প্রধানমন্ত্রীকে সিরিয়ায় বর্তমানে যা ঘটছে, তাতে না জড়ানোর অনুরোধ করেন। তিনি হুঁশিয়ারি ব্যক্ত করে শিয়া আল-সুদানির উদ্দেশে বলেন, ‘ সিরিয়ায় যা ঘটছে, তাতে হস্তক্ষেপ করা থেকে হাশেদ আল-শাবিকে বিরত রাখুন।’
জোলানি তাঁর ভিডিও বার্তায় বলেন, সিরিয়ার চলমান যুদ্ধে ইরাকে অনেকে ভয়ে আছেন। এর মধ্যে অনেক রাজনীতিকও রয়েছেন, যাঁরা মনে করছেন সিরিয়ার চলমান পরিস্থিতি ইরাক পর্যন্ত গড়াবে। অথচ তাঁদের এই ধারণা শতভাগ ভুল।
সোমবার ইরাক জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার সঙ্গে থাকা তাদের ৬০০ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করতে সাঁজোয়া যান পাঠিয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস চলতি সপ্তাহে জানিয়েছে, ইরান–সমর্থিত প্রায় ২০০ ইরাকি যোদ্ধা সিরিয়ার সরকারকে সাহায্য করতে দেশটিতে প্রবেশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, অল্প সময়ের ব্যবধানে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএস ও তাদের মিত্ররা সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ দুই শহর আলেপ্পো ও হামা দখল করে নিয়েছে। এতে বড় ধরনের চাপে পড়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এবং তাঁর মিত্রদেশ রাশিয়া ও ইরান। লেবাননে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার পরপরই এ ঘটনা ঘটে। হিজবুল্লাহ আসাদের মিত্র হিসেবে পরিচিত।