ইয়েমেনের রাজধানী সানায় গাড়িতে হুতি বিদ্রোহীরা
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় গাড়িতে হুতি বিদ্রোহীরা

ইরান-হিজবুল্লাহর শক্তিতে বলীয়ান হুতি যোদ্ধারা

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কোর (আইআরজিসি) ও লেবাননের হিজবুল্লাহর কমান্ডাররা ইয়েমেনে অবস্থান করে লোহিত সাগরে হামলা চালাতে হুতি বিদ্রোহীদের সরাসরি নির্দেশনা দিচ্ছেন। ওই অঞ্চলের চারটি ও ইরানের দুটি সূত্র রয়টার্সকে এমনটা জানিয়েছেন।

হুতিদের অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও অর্থ দিয়ে থাকে ইরান। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা শুরুর পর ইরানের পক্ষ থেকে হুতিদের অস্ত্র সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। আঞ্চলিক ওই চারটি সূত্র এমনটাই জানিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ইরান সমর্থিত হামাস হামলা চালানোর মধ্যে এই সংঘাতের শুরু হয়।

গাজায় হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে হুতিরা গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। তেহরান এর মধ্যে তাদেরকে অত্যাধুনিক ড্রোন, জাহাজবিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং মধ্যম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে বলে ওই সূত্রগুলো জানিয়েছে।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, লোহিত সাগর হয়ে প্রতিদিন চলাচল করা বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর মধ্যে কোনগুলোর গন্তব্য ইসরায়েল, সে বিষয়ে হুতিদের তথ্য ও গোয়েন্দা সহায়তা দিচ্ছেন আইআরজিসির কমান্ডার ও উপদেষ্টারা। এর ভিত্তিতেই কোন কোন জাহাজে হামলা চালানো হবে, তা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে গত মাসে বলা হয়েছিল, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের বিরুদ্ধে যে তৎপরতা চলছে, তার পরিকল্পনায় ইরানের জোরালো সম্পৃক্ততা রয়েছে। জাহাজে হুতিদের হামলা চালানোর ক্ষেত্রে দেশটির গোয়েন্দা তথ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এই প্রতিবেদনের জন্য মন্তব্য জানতে চাইলে হেয়াইট হাউস তাদের আগের বক্তব্য কীভাবে ইরান হুতিদের সহায়তা করছে,সেটার উল্লেখ করেন।

অন্যদিকে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি আবারও লোহিত সাগরে জাহাজে হুতিদের হামলায় নিজেদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ নাকচ করেছেন। আর এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সাড়া দেয়নি আইআরজিসির জনসংযোগ দপ্তর।

ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের স্থাপনায় আঘাত হানতে উড়ে যাচ্ছে মার্কিন যুদ্ধবিমান

লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলায় ইরান ও হিজবুল্লাহ সহায়তা করছে—এমন অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন হুতির মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল সালাম। তবে হিজবুল্লাহর মুখপাত্র এ বিষয়ে বক্তব্য চেয়ে অনুরোধে সাড়া দেননি।

ইয়েমেনে সৌদি আরবের সুন্নি মতাদর্শের প্রভাবের বিরোধিতায় গত শতকের আশির দশকে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে হুতিদের আত্মপ্রকাশ ঘটে। তারা বলে আসছে, লোহিত সাগরে ইসরায়েল–সংশ্লিষ্ট বা ইসরায়েলের বন্দর অভিমুখী জাহাজে হামলার মধ্য দিয়ে হামাসকে সমর্থন দিচ্ছে।

হুতিদের একের পর এক হামলায় ইয়েমেন সংলগ্ন বাব–এল–মান্দেব প্রণালি হয়ে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যকার সমুদ্রপথে বাণিজ্যকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে। আর এ কারণে ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পাল্টা হামলা শুরু করেছে। গাজায় চলমান সংঘাতের পাশাপাশি এ ঘটনা পুরো অঞ্চলকে উত্তপ্ত করে তুলেছে। জন্ম দিয়েছে সংঘাতের নতুন মঞ্চের।

গাজা সংঘাতের জেরে লেবাননের সীমান্ত এলাকায় হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘাত চলছে। সেই সঙ্গে ইরান–সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো ইরাক ও সিরিয়াতে মার্কিন স্থাপনায় হামলা অব্যাহত রেখেছে।

ইরানের একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, আধুনিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিয়ে হুতিদের সহায়তা করছে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস। গত মাসে একদল হুতি যোদ্ধা ইরানে ছিলেন। ইরানের কেন্দ্রস্থলে আইআরজিসির ঘাঁটিতে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। নতুন প্রযুক্তি ও ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা ওই সময় হুতি যোদ্ধাদের শেখানো হয়।

ওই সূত্র আরও বলছে, ইরানের কমান্ডাররা ইয়েমেন সফর করেছেন। তাঁরা লোহিত সাগরে হামলা চালানোর জন্য রাজধানী সানায় একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (কমান্ড সেন্টার) স্থাপন করেছেন। ইয়েমেনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইআরজিসির জ্যেষ্ঠ কমান্ডার কেন্দ্রটি পরিচালনা করছেন।

আঞ্চলিক কৌশল

দুজন বিশ্লেষকের মতে, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার ঘটনা ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজেদের প্রভাব দেখানো এবং এই অঞ্চল ও এর বাইরে সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টিতে তার যে সক্ষমতা রয়েছে, সেটা প্রদর্শনের জন্য আঞ্চলিক শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সংগঠিত ও তাদের তৎপরতা বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে ইরান।

তাঁরা বলছেন, ইরান দেখাতে চাইছে যে গাজায় যুদ্ধ চলতে থাকলে পশ্চিমাদের চড়া মূল্য দিতে হতে পারে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে বিপর্যয়কর পরিণতি আসতে পারে।

এ বিষয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান গালফ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক আবদুল আজিজ আল–সাগের বলেন, হুতিরা স্বাধীনভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে, এমনটা বলা যাবে না। হুতিদের আনুমানিক ২০ হাজার যোদ্ধা রয়েছে। তাদের কর্মী, দক্ষতা ও সক্ষমতা এত উন্নত নয়। প্রতিদিন বাব-এল-মান্দেব দিয়ে কয়েক ডজন জাহাজ চলাচল করে। এর মধ্যে কোন জাহাজে আক্রমণ চালাতে হবে, সেটা নির্ধারণ করতে প্রয়োজনীয় জ্ঞান, কৌশল কিংবা স্যাটেলাইট তথ্য—কোনোটাই হুতিদের নেই।

ইয়েমেনের রাজধানী সানায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের সমর্থনেও স্লোগান দেন

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েনে ওয়াটসন গত মাসে বলেছিলেন, কোন জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে হবে, সেটা ঠিক করার ক্ষেত্রে হুতিদের সরবরাহ করা ইরানের কৌশলগত গোয়েন্দা তথ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ইয়েমেনের সেনাবাহিনীর সাবেক দুই সূত্র জানিয়েছে, ইয়েমেনে আইআরজিসি ও হিজবুল্লাহর কমান্ডারদের সুস্পষ্ট উপস্থিতি রয়েছে। হুতি যোদ্ধাদের সামরিক তৎপরতার তত্ত্বাবধান, প্রশিক্ষণ দেওয়া, যন্ত্রাংশ আলাদা আলাদা করে আনা ক্ষেপণাস্ত্র জোড়া দিতে তাঁদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে।

সানার থিঙ্কট্যাংক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের জ্যেষ্ঠ গবেষক আবদুল ঘানি আল–ইরিয়ানি বলেন, এটা স্পষ্ট যে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে হুতিদের সহায়তা করছেন ইরানিরা। তা না হলে, স্থানীয় হুতিদের সেই সামর্থ্য নেই।

ইরানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে একজন জ্যেষ্ঠ আঞ্চলিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আসে তেহরান থেকে। সেটার ব্যবস্থাপনা করে হিজবুল্লাহ। আর বাস্তবায়ন হয় ইয়েমেনের হুতিদের মাধ্যমে।’

লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের হামলা বিশ্ববাণিজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে। সুয়েজ খাল হয়ে বাণিজ্য জাহাজ চলাচল মারাত্মভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক জাহাজ আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দূরবর্তী উপকূল হয়ে দীর্ঘ ঘুরপথে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ—দুটোই বাড়ছে।

অস্ত্র ও পরামর্শ

হুতির মুখপাত্র আবদুল সালাম বলেছেন, তাঁদের লক্ষ্যবস্তু সুনির্দিষ্ট। তা হলো—ইসরায়েলি জাহাজ কিংবা ইসরায়েল অভিমুখী জাহাজ। তারা প্রাণহানি কিংবা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সম্পদের ক্ষতি করতে চান না। তিনি এটাও বলেছেন, ইয়েমেনে ইঙ্গ–মার্কিন হামলা তাঁদের রুখতে পারবে না।  

আবদুল সালাম বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আমরা কখনোই অস্বীকার করি না। এটাও ঠিক যে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ, সামরিক সরঞ্জাম উত্পাদন ও সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ইরানের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লেগেছে। তবে ইয়েমেন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা পুরোপুরি স্বাধীন। এর সঙ্গে অন্য কোনো পক্ষের সম্পৃক্ততা নেই।’

তবে ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, হুতিদের কাছে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়তে প্রয়োজনীয় সবকিছু আছে। তাদের দরকার দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ। সেটা জাহাজ চলাচলের পথ এবং জাহাজ সম্পর্কে। আর এর সবকিছুই হুতিদের সরবরাহ করছে ইরান।

তেহরানের পক্ষ থেকে হুতিদের কী ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, সিরিয়াকে যেমন পরামর্শ দিয়েছিল ইরান, এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে প্রয়োজনে অভিযান তদারকি—সবকিছুই।
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করতে আইআরজিসির একদল সদস্য এখনো হুতি নিয়ন্ত্রিত সানায় অবস্থান করছেন।’

আইআরজিসির কয়েক শ সদস্যকে সিরিয়ায় পাঠিয়েছে তেহরান। তাঁরা হাজারো হিজবুল্লাহর সদস্যের পাশাপাশি পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে আসা শিয়া সশস্ত্র যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন ও তাঁদের সংগঠিত করছেন। সুন্নি–নিয়ন্ত্রিত বিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখা এর উদ্দেশ্য।

ইরানের পক্ষ থেকে হুতিদের অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও অর্থ দেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগ বারবার সামনে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র ও উপসাগরীয় দেশগুলো। হুতিরা শিয়াপন্থী। সেই সঙ্গে পশ্চিমা ও ইসরায়েলবিরোধী আঞ্চলিক জোটের অংশ তেহরান, হুতি ও হিজবুল্লাহ।

যদিও লোহিত সাগরে সাম্প্রতিক হামলার পেছনে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে তেহরান। তবে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি হুতিদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ‘বিজয় অর্জন’ পর্যন্ত হুতিদের হামলা চলবে।

প্রতিশোধের দুশ্চিন্তা

হুতিদের সহায়তা করতে আইআরজিসি ও হিজবুল্লাহর সামরিক বিশেষজ্ঞরা এখনো ইয়েমেনে অবস্থান করছেন, এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইরান–সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর জোটের একজন নেতা। তিনি বলেছেন, হুতিদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্রায়ন ও সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর কাজে ইরানি ও হিজবুল্লাহর বিশেষজ্ঞরা গিয়েছিলেন ঠিকই। তবে সেটা ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের আগে।

তিনি আরও বলেন, ‘তাঁরা (ইরানের বিশেষজ্ঞ) এসেছিলেন, হুতি যোদ্ধাদের সহায়তা করেছেন, চলেও গেছেন। এর আগে এমনটা তাঁরা হিজবুল্লাহ ও হামাসের সদস্যদের জন্যও করেছেন।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, হুতিদের সামরিক সক্ষমতাকে অবমূল্যায়ন করা উচিত হবে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ব্যক্তি জানান, নিজেদের ভূখণ্ড ও সমুদ্র নিয়ে হুতিদের যথেষ্ট জানাশোনা রয়েছে। আর এখন কোন জায়গায় জাহাজে আক্রমণ করতে হবে, ইরানের সহায়তায় সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রসহ সেই ব্যবস্থাও হুতিদের কাছে আছে।

২০১১ সালে আরব বসন্তের পরিপ্রেক্ষিতে অস্থিতিশীল সময়ের পর থেকে ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করে হুতিরা। পরে হুতিরা ২০১৪ সালে রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর কয়েক মাস পর সৌদি আরবের নেতৃত্বাদীন জোট ইয়েমেনে সামরিক হস্তক্ষেপ করে।

হামাস যখন ইসরায়েলের ভূখণ্ডে আক্রমণ চালাল, তখন সেটার সমর্থন জানানো ছাড়া ইরানের সামনে আর কোনো বিকল্প ছিল না। বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে আসছে তেহরান। কিন্তু এবার সংঘাতে হিজবুল্লাহকে ব্যবহার করলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিশোধ নেওয়া হতে পারে, এমন দুশ্চিন্তা ইরানের ছিল।

আবদুল ঘানি আল–ইরইয়ানি বলেন, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে একটি বড় যুদ্ধ লেবাননের জন্য বিপর্যয়কর হবে। ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্রের ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করে তুলবে। এর বিপরীতে হুতিরা অনন্য একটি কৌশল বেছে নিয়েছে। কেননা, সমুদ্রপথে বিশ্ববাণিজ্যে বড় বাধা ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। হুতিদের ছোট উদ্যোগের বড় প্রভাব দেখা গেছে।

অনুবাদ: অনিন্দ্য সাইমুম