ফিলিস্তিনের গাজার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে অবরুদ্ধ উপত্যকাটির শাসকগোষ্ঠী হামাস।হামাস যোদ্ধারা গাজার দক্ষিণ অংশে পালাচ্ছেন। এ দাবি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের। যদিও দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির বা তুলে ধরেননি তিনি।
গতকাল সোমবার ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, ‘হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। সন্ত্রাসীরা এখন (গাজার) দক্ষিণ দিকে পালাচ্ছে। আর বেসামরিক নাগরিকেরা হামাসের ঘাঁটিতে লুটপাট চালাচ্ছেন। (হামাস) সরকারের প্রতি তাঁদের এখন আর কোনো আস্থা নেই।’
ইয়োভ গ্যালান্টের দাবি, ‘ইসরায়েলের সেনাদের ঠেকানোর সামর্থ্য হামাসের নেই। গাজার প্রতিটি স্থানে অবস্থান সংহত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার পাশপাশি অর্পিত দায়িত্বও যথাযথভাবে পালন করছে।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। সেদিনই গাজা অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় সম্প্রতি সেনাদের পাঠিয়েছে। এরপর থেকেই ইসরায়েলের সেনাদের সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের ব্যাপক লড়াই চলছে।
এক মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সেখানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। গৃহহীন হয়েছেন অর্ধেকের বেশি বাসিন্দা। ইসরায়েলি অবরোধে গাজায় প্রয়োজনীয় ত্রাণও পৌঁছাচ্ছে না।
এর মধ্যে জ্বালানি সংকট ও ইসরায়েলে বাহিনীর ‘খালি করে দেওয়ার’ নির্দেশের কারণে গাজায় একের পর এক হাসপাতাল বন্ধ হচ্ছে। বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন আহত ও গুরুতর জখম হওয়া রোগীরা। এর মধ্যে গাজার সর্বত্র ইসরায়েলের বোমা ও গোলাবর্ষণে শত শত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন।
নির্বিচারে বেসামরিক মানুষ হত্যার মধ্যে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আহ্বান জানিয়ে আসছে। তবে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করে দিচ্ছে। সম্প্রতি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, যুদ্ধ শেষে গাজার সার্বিক নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নেবে ইসরায়েল।