ইসরায়েল অবিলম্বে সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ না করলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে ইরান। ইসরায়েলি বাহিনী টানা দুই সপ্তাহ ফিলিস্তিনের গাজায় বিমান থেকে বোমা হামলা চালিয়ে আসছে। সেখানে স্থল অভিযানের প্রস্তুতিও নিয়েছে দেশটি। ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা এরই মধ্যে সাড়ে চার হাজার ছড়িয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির–আব্দোল্লাহিয়ান আজ রোববার তেহরানে বলেছেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্র ও এর প্রতিনিধিকে (ইসরায়েল) সতর্ক করছি যে তারা যদি অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ না করে, তাহলে যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো কিছু সম্ভব এবং পুরো অঞ্চল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।’
গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরু থেকেই এর সমালোচনা করছে ইরান। তা ছাড়া ইরানপন্থী লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ৭ অক্টোবর এই সংঘাতের শুরু থেকেই ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। তাদের অব্যাহত হামলার মুখে আজ সকালেও ইসরায়েলি বাহিনী লেবানন সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে আরও অনেক মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের সুরক্ষায় এ অঞ্চলে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে ইসরায়েলের কাছাকাছি এলাকায় ভূমধ্যসাগরে একটি রণতরি মোতায়েন করেছে তারা। লোহিত সাগরে মোতায়েন করা মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস কার্নি সম্প্রতি ইয়েমেনের হুতিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দিয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। হুতিরা ইরানের সমর্থনপুষ্ট। এর বাইরে ইরাকেও একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো ড্রোন ও রকেট হামলা চালিয়েছে।
এবার ইসরায়েল–ফিলিস্তিনের সংঘাতের শুরু ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে ঢুকে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালানোর মধ্য দিয়ে। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০–এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ওই হামলায় নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে ইরান। তবে যাঁরা হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁদের প্রশংসা করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। ওই হামলায় ইরানের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে।