ইরানের সাবেক কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর সেখানকার নতুন প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে একজনের নাম বেশি আলোচনায় রয়েছে। তিনি হলেন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার ৬২ বছর বয়সী মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ। তিনি তেহরান শহরের সাবেক মেয়র। এ ছাড়া দেশটির ক্ষমতাধর প্যারামিলিটারি বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্য তিনি। রেভল্যুশনারি গার্ডের একজন সাবেক জেনারেল বাঘের গালিবাফ কট্টরপন্থী নেতা হিসেবে দেশটিতে বেশি পরিচিত।
বাঘের গালিবাফের নাম ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৯৯৯ সালের ছাত্র আন্দোলন কঠোরভাবে দমনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তিনি দেশটির পুলিশপ্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালে এ দায়িত্ব পালনকালে ছাত্রদের ওপর সরাসরি গুলি করার নির্দেশও দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
গালিবাফ এর আগে ২০০৫ ও ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু দুবারই তিনি দেশটির গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদন পাননি। ২০১৭ সালে তিনি ইব্রাহিম রাইসিকে সমর্থন দিয়ে তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। ২০২১ সালের নির্বাচনে ইব্রাহিম রাইসি জিতেছিলেন কিন্তু ওই সময় ভোট পড়ার হার সর্বনিম্ন ছিল। ২০২১ সালের নির্বাচনে রাইসির বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রার্থীদের অনেকেই অযোগ্য ঘোষিত হয়েছিলেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচন। এ নির্বাচনের জন্য ছয়জন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নাম জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটিতে নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়াদি দেখভালের দায়িত্বে থাকা গার্ডিয়ান কাউন্সিল প্রার্থী হিসেবে তাঁদের অনুমোদন দিয়েছে।
গত রোববার ওই ছয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। তাঁরা হলেন পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, পরমাণু কর্মসূচিবিষয়ক সাবেক মধ্যস্থতাকারী সাইদ জালিলি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পোউর মোহাম্মাদী, তেহরানের মেয়র আলী রেজা জাকানি, বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমির হোসেইন গাজিজাদেহ হাশেমি ও পার্লামেন্ট সদস্য মাসুদ পেজেশকিয়ান। এই ছয়জনের মধ্যে মাসুদ পেজেশকিয়ান বাদে সবাই রক্ষণশীল বলয়ের। সাবেক কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদকে আগামী নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।