ফিলিস্তিনের গাজায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য সমুদ্রপথে একটি করিডর চালু করা হচ্ছে। ১৫ মার্চ থেকে এই করিডরের মাধ্যমে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর কাজ শুরু হবে। আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন।
আজ সাইপ্রাসে উরসুলা ভন ডার লিয়েন এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, সমুদ্রপথে এই করিডর মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে থাকা গাজায় আরও বেশি ত্রাণ পাঠানোর সুযোগ করে দেবে। সাইপ্রাস থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ত্রাণ পাঠানো শুরু হচ্ছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ত্রাণ পাঠাতে গাজায় অস্থায়ী বন্দর নির্মাণ করা হবে।
পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেখানে ত্রাণ ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। গাজার বেশির ভাগ ফিলিস্তিনি অর্ধাহারে–অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। খাবার না পেয়ে শিশুমৃত্যুর খবর আসতে শুরু করেছে গাজা থেকে।
জাতিসংঘ বলছে, গাজার এক–চতুর্থাংশ জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে এবং শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে। উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামে একটি দাতব্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এই করিডর দিয়ে গাজায় ত্রাণ যাবে। তবে এভাবে ত্রাণ পাঠানোটা কঠিন। এ জন্য স্থলপথে ত্রাণ পাঠাতে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চলবে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা সামুদ্রিক করিডরকে স্বাগত জানিয়েছে এবং অন্যান্য দেশকে এতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য গাজা উপকূলে বন্দর নির্মাণ করবে মার্কিন সামরিক বাহিনী। তবে প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণার পর মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, বন্দর নির্মাণে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে।