ভারতের উপকূলে একটি ট্যাংকার লক্ষ্য করে ইরান থেকে ড্রোন ছোড়া হয়েছিল বলে ওয়াশিংটনের করা অভিযোগ নাকচ করেছে তেহরান।
গতকাল সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্যাংকারে ড্রোন হামলা নিয়ে ওয়াশিংটনের অভিযোগকে ‘অর্থহীন’ বলে অভিহিত করে।
গত শনিবার জাপানের মালিকানাধীন একটি রাসায়নিক ট্যাংকার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এ হামলা চালায় বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়।
ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এ হামলা চালায়।
পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন প্রকাশ্যে এ হামলার জন্য তেহরানকে অভিযুক্ত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, তাঁরা এ দাবি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছেন। এ দাবি অর্থহীন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, এ ধরনের দাবির উদ্দেশ্য হলো, গাজায় ইসরায়েল যে অপরাধ করছে, তা আড়াল করা। জনসাধারণের মনোযোগ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা।
হামলার শিকার ট্যাংকারটি গতকাল সোমবার ভারতের মুম্বাইয়ে পৌঁছায়। সেখানে ভারতীয় নৌবাহিনীর বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়কারী দল ট্যাংকারটি পরিদর্শন করে বলে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়।
পিটিআইয়ের তথ্যানুসারে, ভারতীয় নৌবাহিনী বলেছে, ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পর্যালোচনা ট্যাংকারটিতে ড্রোন হামলা হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। তবে হামলা কোন পথ দিয়ে হয়েছে, তা নির্ধারণে আরও বিচার-বিশ্লেষণের দরকার পড়বে।
গাজা উপত্যকায় ১১ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিমান ও স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। হামাস-শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।