আল ফারা শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান। পশ্চিম তীর, ২৮ আগস্ট ২০২৪
আল ফারা শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান। পশ্চিম তীর, ২৮ আগস্ট ২০২৪

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযান শুরু, ৯ ফিলিস্তিনি নিহত

দখলকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে কমপক্ষে ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে অন্তত চারটি শহরে একযোগে বড় ধরনের এ অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। শহরগুলো হলো জেনিন, তুলকারেম, নাবলুস ও তুবাস।

ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী দাবি করেছে, পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে তারা ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযান চালাচ্ছে।

ইসরায়েলি বাহিনী জেনিনের একটি হাসপাতালে ঢুকে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তুলকারেমেও দুটি হাসপাতাল অবরুদ্ধ করেছে তারা। নাবলুসে ইসরায়েলি অভিযানের মূলে রয়েছে দুটি শরণার্থীশিবির।

চিকিৎসাকর্মীরা বলছেন, তুবাসের কাছে আল ফারা শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলার পর অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহত ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে।

হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে বলেছে, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাব্যবস্থা ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কাজ করছে তারা।

দ্বিতীয় ইন্তিফাদার পর প্রথমবারের মতো একযোগে কয়েকটি ফিলিস্তিনি শহরে এমন অভিযান চালানো হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের অভ্যুত্থানকে দ্বিতীয় ইন্তিফাদা বলা হয়ে থাকে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় তাণ্ডব শুরু করে ইসরায়েল। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরেও সহিংসতা বেড়েছে।

গত বুধবার জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর এ পর্যন্ত পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরে ৬০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৫৮৯ জন, ইসরায়েলি অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হাতে ১১ জন ও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের হাতে ৭ জন নিহত হয়েছেন।