সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থিত ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় ধারাবাহিকভাবে হামলা চালানোর পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তা।
তবে কবে থেকে ওই হামলা শুরু করা হবে, তা স্পষ্ট করে জানাননি ওই মার্কিন কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেছেন, বেশ কয়েক দিন ধরে ওই হামলা চালানো হবে। হামলা কখন শুরু করা হবে, তা আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।
গত রোববার জর্ডানে সিরিয়া সীমান্তের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন সেনাসদস্য নিহত হন। ওই হামলার জন্য ইরান–সমর্থিত একটি সশস্ত্র গ্রুপকে দায়ী করেছে ওয়াশিংটন। রোববারের ওই ঘটনার পরই ইরানের স্থাপনায় হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছেন ইরাকের ইসলামিক রেসিস্ট্যান্স নামের একটি গ্রুপ। কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী নিয়ে এই গ্রুপটি গঠিত। বলা হয়, তাদের অর্থায়ন ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডস। তবে সাম্প্রতিক ওই হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নাকচ করেছে তেহরান।
রোববারের ওই হামলায় ৪১ মার্কিন সেনা আহত হয়েছিলেন। এরপর মার্কিন কর্মকর্তারা এর পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ দেশটির অন্য কিছু কর্মকর্তার ভাষ্য ছিল, তাঁরা ইরানের সঙ্গে বড় পরিসরে যুদ্ধে জড়াতে চান না।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এরপর থেকে ইরানপন্থী বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থাপনা ও জাহাজে হামলা চালাচ্ছে। যেমন ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে পণ্যবাহী বিভিন্ন জাহাজে হামলা চালিয়েছে। ওই হামলার জবাবে ইয়েমেনে বিভিন্ন হুতি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মিত্ররা।