ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েল ত্রাণ সরবরাহ করতে দিচ্ছে না। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ ও কর্মসংস্থানবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এ কথা জানিয়েছে। এ ছাড়া ত্রাণকর্মী হত্যার ঘটনায় গাজায় ত্রাণসহায়তার পরিমাণ আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
এদিকে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৫৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় ৩২ হাজার ৯৭৫ জন নিহত হয়েছেন।
গাজার ত্রাণসহায়তা পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে ইউএনআরডব্লিউএ আরও জানিয়েছে, গাজায় এখন প্রতিদিন গড়ে ১৬১টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে। এটি দৈনিক ৫০০ ত্রাণবাহী ট্রাকের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। এ ছাড়া গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিজেদের ১৭৬ জন কর্মী নিহত হয়েছেন বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
ইসরায়েলি হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) সাত ত্রাণকর্মী নিহতের পর ত্রাণ সরবরাহ আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ফিলিস্তিনিরা।
গত সোমবার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ডব্লিউসিকের সাত কর্মী নিহত হন। তাঁদের ছয়জনই ছিলেন বিদেশি। এই ঘটনার পর এই অঞ্চলে ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে ত্রাণকর্মী হত্যার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এ হামলাকে ‘বিবেকবর্জিত’ বলে মন্তব্য করেছেন।
ত্রাণকর্মী হত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধ বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ঘটনায় তিনি ‘মর্মাহত’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
নিহত ত্রাণকর্মীদের তিনজন ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। গত মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে সুনাক বলেছেন, ত্রাণকর্মী নিহতের ঘটনায় তিনি ‘হতবিহ্বল’।