ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে পরপর দুই দিনে ইসরায়েলের চালানো বোমা হামলায় অন্তত ১৯৫ জন নিহত হয়েছেন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১২০ জন। গাজা উপত্যকা সরকারের গণমাধ্যম শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গণমাধ্যম শাখার তথ্যানুযায়ী, গত মঙ্গল ও বুধবার চালানো ওই হামলায় আহত হয়েছেন ৭৭৭ ফিলিস্তিন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জাবালিয়ায় শরণার্থীশিবিরে চালানো এ হামলাকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন। আর জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেছেন, এসব ‘নির্বিচার হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল’।
জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে গত মঙ্গলবার প্রথম হামলা চালানো হয়। ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে বুধবার সেখানে দ্বিতীয়বারের মতো বোমা হামলা চালানো হয়। ইসরায়েল বলেছে, হামাসের এক কমান্ডারকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জাবালিয়া আশ্রয়শিবিরের এ হামলাকে ‘ভয়াবহ ও মর্মঘাতী’ বলে উল্লেখ করেছে। সংস্থাটির হিসাব অনুসারে, গত ২৫ দিনে গাজায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে।
ইউনিসেফের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিশুদের হত্যা ও আটক করা বন্ধ করতে হবে।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি হামলায় ৮ হাজার ৭৯৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।