গাজা উপত্যকার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল (রুমাহ সাকিত ইন্দোনেশিয়া) থেকে ২০০ রোগীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রেড ক্রসের সহায়তায় তাঁদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার (২০ নভেম্বর) এ কথা জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এএফপিকে বলেন, ২০০ রোগীকে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং বাসে করে তাঁদের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আশরাফ আল-কুদরা জানান, ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অবরোধ করে রেখেছে।
খান ইউনিসে এএফপির এক সাংবাদিক দুটি বাসকে নাসের হাসপাতালে আসতে দেখেছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর আগে জানিয়েছিল, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডটির উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ইসরায়েলের বোমা হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসক ও রোগী আছেন।
গাজার উত্তরাঞ্চলে বড় হাসপাতালগুলোর একটি ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, গত রোববার (১৯ নভেম্বর) কোনো ধরনের পূর্বসতর্কতা না দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী ট্যাংক নিয়ে হাসপাতালটি ঘিরে ফেলে এবং হামলা চালায়। ইসরায়েলি ট্যাংক এখনো হাসপাতালের চারপাশ ঘিরে রেখেছে।
গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত সপ্তাহে আল-শিফা হাসপাতালে যা ঘটেছে, ইসরায়েলি বাহিনী তারই পুনরাবৃত্তি ঘটাতে যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে। তারা ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালটিও দখল করে নিতে পারে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনী আল–শিফা হাসপাতালে সরাসরি অভিযান চালায়। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গোপনে হাসপাতালটির ভূগর্ভস্থ জায়গায় ঘাঁটি পরিচালনা করছিল—এমন দাবি করে তারা হাসপাতালে তল্লাশি চালায়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, হাসপাতালের ভূগর্ভে হামাসের ঘাঁটি আছে বলে তারা প্রমাণ পেয়েছে। তবে আল–শিফা হাসপাতালের কর্মীরা বলছেন, ইসরায়েল এমন কিছু প্রমাণ করতে পারেনি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের ভাষ্যমতে, হামাসের এ হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রেখেছে হামাস।
৭ অক্টোবর থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। পাশাপাশি তারা গাজায় স্থল অভিযান চালাচ্ছে।