ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি

বৈরী আবহাওয়ার কারণে রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত: প্রতিবেদন

পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর ঘটনায় বৈরী আবহাওয়াকে দায়ী করছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা বলছেন, গত মে মাসে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিধ্বস্ত হয়েছিল রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। এতে নিহত হন রাইসিসহ আরও সাতজন।

১৯ মে আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন রাইসি। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ অন্য কর্মকর্তারা।

পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। ঘটনাস্থল থেকে সবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ইরানের সামরিক বাহিনীর সুপ্রিম বোর্ড অব দ্য জেনারেল স্টাফের চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই অঞ্চলের চরম বৈরী জলবায়ু ও আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতি রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার প্রধান কারণ। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের বরাতে গতকাল রোববার খবর প্রকাশ করেছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আইআরআইবি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে নাশকতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এর আগে গত মে মাসে ইরানের সেনাবাহিনী বলেছিল, হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে তাঁরা ‘অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের’ প্রমাণ পায়নি।

ইব্রাহিম রাইসি ইরানের কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০২১ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট হন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বিশ্বস্ত ও সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবেও পরিচিতি ছিল রাইসির।