দুবাইয়ে চলছে কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলন। এই সম্মেলনকে লক্ষ্য রেখে জীবাশ্ম জ্বালানি ও প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধের দাবিতে জলবায়ু অধিকারকর্মীদের বিক্ষোভ। ৩ ডিসেম্বর, বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে
দুবাইয়ে চলছে কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলন। এই সম্মেলনকে লক্ষ্য রেখে জীবাশ্ম জ্বালানি ও প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধের দাবিতে জলবায়ু অধিকারকর্মীদের বিক্ষোভ। ৩ ডিসেম্বর, বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি

জলবায়ু পরিবর্তনের লাগাম টানতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধে নানামুখী চাপ রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে (কপ–২৮) এ নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলেও আশা করা হচ্ছে। যদিও সম্মেলনের শেষ দিকে এসেও বিষয়টি নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। কয়েকটি দেশ চাইছে, কপ–২৮–এর আলোচনায় জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার করা না–করা নয়, বরং দূষণ কমিয়ে আনায় অগ্রাধিকার দেওয়া হোক। তালিকায় জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী ও রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব ও রাশিয়া রয়েছে।

জ্বালানি তেলের রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক গত সপ্তাহে সদস্যদেশ ও ওপেক প্লাস জোটের দেশগুলোকে একটি চিঠি দিয়েছে। কপ–২৮ সম্মেলনের চুক্তিতে জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে কোনো কিছু উল্লেখ থাকলে তা প্রত্যাখান করার অনুরোধ করা হয়েছে ওই চিঠিতে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের ঐকমত্যে বিরোধিতা করবে ওপেকসংশ্লিষ্ট দেশগুলো।

এ চিঠির বিষয়ে জানতে ওপেকের মহাসচিব হাইথাম আল গাইসের সঙ্গে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ওপেক চায় কপ–২৮ সম্মেলনের আলোচনায় দূষণ কমানোর বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। যদিও কয়লা, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে দূষণ বেশি ঘটে। এ বিষয় নিয়ে কিছুই বলেননি ওপেক মহাসচিব।

বিবৃতিতে ওপেকের মহাসচিব আরও বলেন, বিশ্বে হাইড্রোকার্বনসহ সব ধরনের জ্বালানিতে আরও বেশি বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। জ্বালানির ব্যবহারে বদল আনার কৌশল অবশ্যই যৌক্তিক, স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে।

ওপেকের পক্ষ থেকে এমন চিঠি দেওয়ার নজির নেই। এর মধ্য দিয়ে সংস্থাটি প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের আলোচনায় প্রভাব রাখার চেষ্টা করেছে।

ওপেকের সদস্যদেশ সৌদি আরব। রাশিয়া ওপেক প্লাস জোটের প্রভাবশালী সদস্য। দেশ দুটির মিলিত প্রচেষ্টায় ওপেকের অনেক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জ্বালানি তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ ও মূল্য নির্ধারণে সৌদি আরব ও রাশিয়ার প্রভাব রয়েছে।