উত্তর ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আল-হামদির (বাঁয়ে) সঙ্গে আহমদ আল-গাশমি
উত্তর ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আল-হামদির (বাঁয়ে) সঙ্গে আহমদ আল-গাশমি

প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়ে রাষ্ট্রদূত চিঠির ব্যাগ খুলতেই ঘটে বোমার বিস্ফোরণ

উত্তর ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-গাশমি ১৯৭৮ সালের এই দিনে স্যুটকেসবোমায় খুন হন। এর আগে ১৯৭৭ সালের ১১ অক্টোবরে রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডের শিকার জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম আল-হামদি হত্যাকাণ্ডে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। হামদিকে হত্যার পর ৯ মাসও আল-গাশমি ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। আজ তাঁর হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশেষ আয়োজন।

একটি দেশের প্রেসিডেন্টরা ক্রমিক খুন হয়েছেন। কিন্তু রহস্যজনকভাবে সেসব খুনের কোনো কিনারা করা হয়নি। বলা হচ্ছে বর্তমানে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের কথা। ১৯৯১ সালে একীভূত হওয়ার আগে ইয়েমেন উত্তর ও দক্ষিণ নামে দুটি আলাদা দেশ ছিল। ১৯৭৮ সালের ২৪ জুন উত্তর ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-গাশমি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। জেনারেল কমান্ড ভবনে এ ঘটনা ঘটেছিল। তাঁকে হত্যায় ব্যবহার করা হয়েছিল রহস্যময় একটি স্যুটকেসবোমা।

আল-গাশমির আগে ১৯৭৭ সালের ১১ অক্টোবরে রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন দেশটির জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম আল-হামদি। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের কারণে দেশের রাজনৈতিক পট বারবার বদলেছে। কিন্তু এর পেছনেও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র সৌদি আরবের কালো ছায়া।

রক্তাক্ত ইতিহাস

২০১১ সালের ঘটনা। ওই সময় ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন আলী আবদুল্লাহ সালেহ। তাঁর বিরুদ্ধে ওই সময় বিদ্রোহ ফুঁসে উঠেছিল। তরুণ সমাজসহ ইয়েমেনের হাজারো মানুষ সালেহের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন। তাঁদের দাবির মধ্যে ছিল, ব্যাপক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পাশাপাশি প্রেসিডেন্টকে কয়েক দশকের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যান্য অপরাধের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। একই সঙ্গে ১৯৭৭ সালে উত্তর ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম আল-হামদির হত্যাকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।

এই আল-হামদিকে ইয়েমেনের সংস্কারক এবং আধুনিকতাবাদী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখেন অনেকে। ১৯৭৪ সালের জুনে একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উত্তর ইয়েমেনের ক্ষমতায় আসেন তিনি। তখনকার উত্তর ইয়েমেনের সমর্থক ছিল সৌদি আরব ও সৌদির মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য এ সময় সৌদির তেলের বাজারের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। তিনি কোনোভাবেই উত্তর ইয়েমেনে সৌদির প্রভাব কমুক, তা চাইতেন না।

অন্যদিকে দক্ষিণ ইয়েমেনে ছিল সোভিয়েত ও কিউবার প্রভাব। দুই ইয়েমেনের মধ্যে তখন নানা বিষয়ে দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছিল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বল্প মেয়াদেই আল-হামদি জনসাধারণের সমর্থন ও সম্মান অর্জন করেন। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও একটি সাম্যবাদী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য বেশ কিছু সংস্কার শুরু করেন। তিনি সৌদি আরবের ওপর তার দেশের নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে বেশ কিছু নীতি বাস্তবায়ন করেছিলেন এবং উত্তর ও দক্ষিণকে একত্র করার চেষ্টা করেছিলেন। এ জন্য তিনি সংবিধানে পরিবর্তনও আনেন।

১৯৭৭ সালের অক্টোবরে দুই ইয়েমেনকে একীভূত করার জন্য আলোচনা শুরু করতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়। এ জন্য দক্ষিণ ইয়েমেনে নির্ধারিত সফরের মাত্র দুই দিন আগে আল-হামদি ও তাঁর এক ভাইকে হত্যা করা হয়। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর সঠিক পরিস্থিতি আজও রহস্য রয়ে গেছে।

আল-হামদির মৃত্যুর মধ্য দিয়েই আল-গাশমির উত্থানের শুরু। আল-হামদি যখন খুন হন, তখন উত্তর ইয়েমেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান ছিলেন আহমদ আল-গাশমি। তিনি আল-হামদির স্থলাভিষিক্ত হন। আল-হামদির মৃত্যুর সেই সময়ে তিনি দাবি করেছিলেন, আল-হামদি ও তাঁর ভাই আবদুল্লাহ নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত হয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। অবশ্য ওই সময় সরকারি কর্মকর্তারা আল-হামদির মৃত্যুর সঠিক কারণ প্রকাশ করেননি।

তবে জনমনে গুঞ্জন ছড়ায়, প্রেসিডেন্ট আল-হামদির মৃত্যুর পেছনে তাঁর রাজনৈতিক শত্রুরাই দায়ী। আল-হামদি হত্যার যে ব্যাখ্যা আল-গাশমি দিয়েছিলেন, তা কখনোই আল-হামদির ঘনিষ্ঠজনেরা বিশ্বাস করতে পারেননি। অনেক প্রত্যক্ষদর্শী এমনও বলেছেন, প্রেসিডেন্ট আল-হামদি যেদিন হত্যার শিকার হন, সেদিন পরিবারসহ তাঁকে আল-গাশমির বাড়িতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ওই সময় আল-গাশমি ও তাঁর বিশ্বস্ত আলি আবদুল্লাহ সালেহের সঙ্গে তাঁকে বৈঠক করতেও দেখা গেছে। তখনো জীবিত ছিলেন আল-হামদি।

আল-হামদির হত্যাকাণ্ড ঘিরে অনেক প্রশ্ন ও অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কখনো আনুষ্ঠানিক তদন্ত হয়নি। তবে আল-হামদিকে হত্যার অভিযোগের তির আল-গাশমির দিকে গেলেও তিনি এর উত্তর দিয়ে যেতে পারেননি। কারণ, ১৯৭৮ সালের ২৪ জুন তিনি স্যুটকেসবোমার বিস্ফোরণে নিহত হন।

আল-হামদির মৃত্যুর রহস্য নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট সালেহ ২০১৬ সালের আগে কখনো মুখ খোলেননি। কিন্তু এ নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। বিক্ষোভের মুখে ২০১১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর ২০১৬ সালে আরটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সালেহ বলেন, আল-হামদি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তবে প্রেসিডেন্টের মৃত্যু ঘিরে যৌন কেলেঙ্কারির বিষয়টি সাজানো বলে স্বীকার করেন তিনি।
আল-হামদি হত্যাকাণ্ডের পেছনে সৌদি আরবের হাত রয়েছে বলে ইঙ্গিত দেন সালেহ। তিনি দাবি করেন, অর্থ দিয়ে কোনো গোয়েন্দাকে দিয়ে আল-হামদিকে হত্যা করায় সৌদি আরব। এর কারণ ছিল, সৌদি ও মার্কিন-বলয়ের বাইরে যেতে চেয়েছিলেন আল-হামদি।

সালেহ অবশ্য পরবর্তী সময় ইয়েমেনের প্রেসিডেন্টদের খুনের বিষয়ে আরও তথ্য ফাঁসের হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তিনিও হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

মার্কিন গণমাধ্যমে মৃত্যুর খবর

নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় ১৯৭৮ সালের ২৪ জুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ হুসেইন আল-গাশমির মৃত্যুসংবাদ ও নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার খবর ছাপা হয়। পরে সেই পত্রিকার ডিজিটাল সংস্করণে প্রকাশিত ওই সংবাদে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আহমেদ হুসেইন আল-গাশমি সফররত কূটনৈতিক দূতের ব্যাগে লুকিয়ে রাখা বোমার বিস্ফোরণে আজ নিহত হয়েছেন।

ইরাকের সংবাদ সংস্থার বরাতে ওই সংবাদে বলা হয়, দক্ষিণ ইয়েমেনের রাষ্ট্রদূত তাঁকে একটি বার্তা দিতে যাওয়ার সময় উত্তর ইয়েমেনের এ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। ওই বিস্ফোরণে রাষ্ট্রদূতও নিহত হন। ওই রাষ্ট্রদূত দক্ষিণ ইয়েমেনের নেতা প্রেসিডেন্ট সালেম রোবি আলীর কাছ থেকে গাশমির জন্য একটি চিঠি এনেছিলেন। দূত ব্যাগটি খুললে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। তবে রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে আগে অবগত ছিলেন কি না, তা জানা যায়নি।

নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, গাশমি হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হলে গত নয় মাসে এটি হবে দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হত্যার ঘটনা। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম আল-হামদি অক্টোবরে খুন হন। তাঁর হত্যাকারীদের শনাক্ত করা যায়নি। আল-গাশমি প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট হামদির হত্যাকাণ্ডের পর দায়িত্ব নেওয়া তিন সদস্যের কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

আল-গাশমির জীবন

আহমদ আল-গাশমি ১৯৩৮ সালে ইয়েমেনের সানার হামাদান উপশহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি উত্তর ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের পরে উত্তর ইয়েমেনের সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ইয়েমেনি প্রথম আর্মার্ড ব্রিগেডের নেতৃত্ব দেন। তিনি ইয়েমেনে সৌদি আরবের প্রভাব কমাতে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম আল-হামদির প্রচেষ্টার বিরোধী ছিলেন। তাঁর কোনো রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছিল না। তিনি সামরিক বাহিনী থেকে ক্ষমতায় এসেছিলেন। আল-হামদি যে সময় নিহত হন, আল-গাশমি তখন লিডারশিপ কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ছিলেন।

১৯৭৭ সালের ১১ অক্টোবর হামদি নিহত হলে গাশমি ক্ষমতায় বসেন। তাঁকে হত্যায় গাশমিও সন্দেহের তালিকায় ছিলেন। ক্ষমতায় আসার পর আল-গাশমি ১৯৭০ সালের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৪ সালে ওই সংবিধান বাতিল করেছিলেন আল-হামদি। তবে এই সংবিধান থেকে কনসালটেটিভ কাউন্সিল পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়টি বাদ যায়। এ সময় প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের প্রচলন করা হয়। তিনি ওই সময় আলী আবদুল্লাহ সালেহকে তায়েজের সামরিক গভর্নর নিয়োগ করেন। গাশমি নিহত হওয়ার পর আলী আবদুল্লাহ সালেহ দেশটির প্রেসিডেন্ট হন।

সৌদি-যুক্তরাষ্ট্রের ছায়া

ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ নিজেই স্বীকার করেছেন, আল-হামদিকে হত্যায় সৌদি আরবের কোনো এজেন্টের হাত ছিল। কারণ, এ হত্যাকাণ্ডের পর দুই ইয়েমেনই ছিল শান্ত। কিন্তু আল-গাশমি ক্ষমতা নিয়ে রাজনৈতিক সমস্যার মুখে পড়েন। তিনি নিজেও একাধিকবার হত্যাচেষ্টার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে।
তবে আল-হামদি ও তাঁর ভাইকে হত্যার জন্য আল-গাশমির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় আগে থেকেই সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা ছিল। কারণ, গাশমির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার অভিযোগ আনা হয়। দক্ষিণ ইয়েমেন উত্তর ইয়েমেনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।

এর পেছনে অবশ্য সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের নানা প্রমাণ রয়েছে। মার্কিন ও সৌদির প্রভাব বজায় রাখতে কখনোই ইয়েমেনকে স্থিতিশীল হতে না দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। আল-গাশমি খুনের পর সোভিয়েত-সমর্থিত দক্ষিণ ইয়েমেন যাতে উত্তর ইয়েমেনের ক্ষমতা নিতে না পারে, সে জন্য উত্তর ইয়েমেনকে অস্ত্র দিতেও পিছপা হয়নি জিমি কার্টার প্রশাসন।

আল-গাশমি হত্যার পর ১৯৭৮ সালে প্রতিবেশী দুই ইয়েমেনের মধ্যে সংঘাত মারাত্মক আকার ধারণ করে। ওই সময় দক্ষিণ ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তুলনামূলকভাবে মধ্যপন্থী সেলিম রুবাই আলী। আল-গাশমি হত্যার তিন দিন পরই রুবাই আলী কট্টরপন্থী আবদুল ফাত্তাহ ইসমাইলের নেতৃত্বে এক সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডের কারণে ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে দুই দেশের মধ্যে একটি সীমান্ত যুদ্ধ শুরু হয়।

ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের জিমি কার্টার প্রশাসনের মনে ভয় ছিল, উত্তর ইয়েমেনের দখল সোভিয়েতপন্থীদের হাতে চলে যেতে পারে এবং সৌদির অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। ফলে দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সেখানে হস্তক্ষেপ করা হয়।

৭ মার্চ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেবিগনিউ ব্রজেজিনস্কি এবং তার সেক্রেটারি অব স্টেট সাইরাস ভ্যান্সের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মার্কিন নৌবাহিনীর রণতরী পারস্য উপসাগরে পাঠান। কার্টার একই সঙ্গে উত্তর ইয়েমেনকে ৩৯ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র সহযোগিতার কথা জানান। এর মধ্যে ১২টি এফ-৫ ফাইটার জেট, ৫০টি সাঁজোয়া যান ও ৬৪টি এম-৪ ট্যাংক ছিল।

ওই সময় ধারণা করা হতো, উত্তর ইয়েমেনে রুশ ও কিউবার প্রভাব কমাতে লাইন টেনে দিচ্ছেন কার্টার। তিনি মনে করেন, অ্যাঙ্গোলা থেকে ইথিওপিয়া পর্যন্ত সোভিয়েত অগ্রগতি এখানেই বন্ধ করতে হবে।

তবে কার্টারের এই ভূরাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের বিষয়টি কংগ্রেসের সবাইকে রোমাঞ্চিত করতে পারেনি। ১৯৭৯ সালের ১২ মার্চ হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সাব-কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন ইন্ডিয়ানার ডেমোক্র্যাট নেতা লি হ্যামিলটন। তিনি উত্তর ইয়েমেনে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস