ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা শান্তি প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবের অংশ হিসেবে হুতিরা সৌদি আরবে সব ধরনের হামলা বন্ধের কথা বলেছে। হুতি বিদ্রোহীদের এমন প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ। আজ রোববার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রমালিকানাধীন তেল সংস্থা আরামকোর দুটি স্থাপনায় হামলা হওয়ার এক সপ্তাহ পর হুতি বিদ্রোহীদের কাছ থেকে শান্তি প্রস্তাব এল।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর আরামকোর দুটি স্থাপনায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের দাবি নাকচ করেছে। তারা বলছে, হামলার দায় ইরানের। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইরান।
সৌদির তেল স্থাপনায় হামলার জেরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। চলমান উত্তেজনার মধ্যে হুতিরা শান্তি প্রস্তাব দিল।
শিয়াপন্থী হুতি বিদ্রোহীদের শান্তি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। বিবৃতিতে জাতিসংঘ বলেছে, হুতিদের প্রস্তাবটি যুদ্ধের সমাপ্তি টানার ব্যাপারে সদিচ্ছার একটি শক্তিশালী বার্তা হতে পারে।
ইয়েমেনে কয়েক বছর ধরে চলা যুদ্ধে হাজারো মানুষ নিহত হয়েছে। যুদ্ধ ও অবরোধের কারণে দেশটি এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।
হুতিরা দেশটির প্রেসিডেন্ট মানসুর হাদিকে হটিয়ে রাজধানী সানার দখল নিলে তাঁর (মানসুর হাদি) সমর্থনে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে শিয়াপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে। এই অভিযানের জবাবে হুতি বিদ্রোহীরাও সময়-সময় সৌদি আরবে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়ে আসছে। সবশেষ গত সপ্তাহে সৌদির তেল স্থাপনায় হামলার দাবি করে তারা। এবার হুতি বিদ্রোহীরা শান্তি প্রস্তাব দিয়ে চমক দিল।
টেলিভিশনে দেওয়া শান্তি প্রস্তাবের ঘোষণায় হুতি সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহদি আল-মাশাত বলেন, সৌদি আরবে সব ধরনের হামলার সমাপ্তি টানবে হুতিরা। তিনি ইয়েমেনের সব পক্ষকে ব্যাপকভিত্তিক জাতীয় সমঝোতার লক্ষ্যে কাজ করারও আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের ইয়েমেন বিষয়ক বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিতস হুতিদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। তিনি ইয়েমেন সংকটের রাজনৈতিক সমাধানেরও আহ্বান জানান।