রাশিয়ার দুজনকে আটকের আবেদন ইন্টারপোলে

ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর লেবাননের বৈরুত বন্দর
ছবি: রয়টার্স

বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় রাশিয়ার দুই নাগরিককে আটকের জন্য ইন্টারপোলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লেবানন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএর বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

রাশিয়ার ওই দুই নাগরিক হলেন বরিস প্রোকোশেভ ও ইগর গ্রিসুসকিন। সাত বছর আগে বৈরুত বন্দরে শত শত টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট আনে এমভি রোসাস। এই জাহাজের মালিক সাইপ্রাসে বসবাসরত রুশ গ্রিসুসকিন। আর প্রোকোশেভ ছিলেন ওই জাহাজের ক্যাপ্টেন। এই দুজনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে লেবাননে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এই দুজনকে আটকের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেন লেবাননের বিচারক ফাদি সাওয়ান।
বৈরুত বন্দরে গুদামে প্রায় দুই হাজার ৭০০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুত করা ছিল। গত ৪ আগস্টের ওই বিস্ফোরণে অন্তত ১৯৩ জন নিহত, সাড়ে ছয় হাজারের মতো আহত হন। বাড়িহারা হন তিন লাখ মানুষ।

পূর্ব ইউরোপের দেশ মলদোভার পতাকাবাহী এমভি রোসাস ২০১৩ সালে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট তুরস্ক থেকে বৈরুত আনে। লেবাননের কর্মকর্তাদের তথ্য মতে, জাহাজটি এসব দ্রব্য খালাসের পর আর বৈরুত বন্দর ছেড়ে যায়নি। ২০১৮ সালের বৈরুত বন্দরেই জাহাজটি ডুবে যায়। আর অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটগুলো মজুত ছিল বন্দরের গুদামে।
ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৪ জনের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।

তাঁদের বেশির ভাগই বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তা। ধারণা করা হয়, বৈরুত বন্দরের ইতিহাসে এত বেশি পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য কখনোই মজুত করা হয়নি। দেশটিতে ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সালে চলা গৃহযুদ্ধের পর বড় ধরনের জাতিগত দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে।

বিস্ফোরণের পরপরই পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াবের সরকার। এর পর দ্রুত সময়ের মধ্যে মন্ত্রী পরিষদ গঠনের লক্ষ্যে মনোনীত প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আদিবও পদত্যাগ করেন।