যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত বছর ক্ষমতায় এসেছেন জো বাইডেন। তখন অনেকে দেশটির পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তনের পাশাপাশি ইয়েমেনে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটবে—এমনটা আশা করেছিলেন।
তবে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ইয়েমেনে যুদ্ধের অবসান ঘটা তো দূরের কথা, বরং তীব্র হয়েছে। লড়াই–সংঘাতে জর্জরিত ইয়েমেনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার আগেই দেশ ও অঞ্চল ছাপিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গন পর্যন্ত পৌঁছেছে। তবে এ আলোচনা এক বিশেষ মাত্রা পেয়েছে বিশেষভাবে গত ১৭ জানুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) আবুধাবিতে হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর থেকে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইয়েমেনের বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে তা দেশটিকে শুধু মানবিক বিপর্যয়ের দিকেই ঠেলে দেবে। জাতিসংঘের কথায়, এটি বিশ্বের সবচেয়ে অবনতিশীল পরিস্থিতিতে গড়াতে পারে।
ইয়েমেনে গত বছরের শেষ দিক থেকে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট আরও সমন্বিতভাবে আক্রমণ শুরু করেছে। এতে ইরান–সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা তাদের প্রভাবশালী মিলিশিয়া বাহিনী আনসারুল্লাহসহ সার্বিকভাবে দুর্বল অবস্থানের দিকে যাচ্ছে। ২০২০-২১ সালে হুতিরা যেসব এলাকা দখল করেছিল, তা তাদের হাতছাড়া হচ্ছে। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, এই একটি বিষয় সামনে আনলেই বোঝা সহজ হয়, হুতিরা কেন চলতি বছর আবুধাবির ওপর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ইয়েমেনে আল-ওয়েয়াত আল-আমালিকাসহ (জায়ান্টস ব্রিগেডস) কিছু বাহিনীর প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে। হুতিরা বর্তমানে ইউএইর প্রতি এদের সমর্থন বন্ধ করতে চাপ দিচ্ছে। কিন্তু অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন, হুতিদের এ কৌশল সহজেই ব্যর্থ হতে পারে এবং ২০১৪ সাল থেকে রাজধানী সানায় নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা হুতি যোদ্ধাদের ওপর পাল্টা হামলা চালাতে পারে বিরোধী জোট। আবুধাবির বিরুদ্ধে আনসারুল্লাহর ওই হামলার ফলে সৌদি আরবের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে হুতিবিরোধী শক্তির প্রতি সমর্থন জোরদার করতে পারে ইউএই।
গত ১৭ জানুয়ারি আমিরাতের কেন্দ্রস্থল আবুধাবির বিমানবন্দরের কাছাকাছি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় হুতিদের প্রভাবশালী মিলিশিয়া বাহিনী আনসারুল্লাহ। সেখানকার একটি তেল সংরক্ষণাগারকে লক্ষ্য করে এ হামলা হয়। এতে তেলের তিনটি ট্যাংক বিস্ফোরণের পাশাপাশি দুই ভারতীয় ও এক পাকিস্তানি নিহত হন। তাঁরা সবাই ইউএইর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানি অ্যাডনকে কর্মরত ছিলেন। হামলায় একটি নির্মাণাধীন প্রকল্পেও অগ্নিকাণ্ড ঘটে। হুতিবিরোধী ইয়েমেন সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসা সৌদি জোটের সঙ্গে রয়েছে ইউএই। এ কারণে বিভিন্ন সময় দেশটিতে হুতি বিদ্রোহীরা হামলা চালিয়ে আসছে। তবে ওই ঘটনাকে নিজেদের মাটিতে সবচেয়ে বড় হামলা হিসেবে দেখছে ইউএই।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পেমব্রোক কলেজের আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো এলিজাবেথ কেন্ডাল। তাঁকে ইয়েমেন বিষয়ে শীর্ষস্থানীয় একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে ধরা হয়। আমিরাতের ওপর আনসারুল্লাহর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। তাঁর ধারণা, এই হামলা হুতিদের সম্প্রসারণবাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার অবসান ঘটাতে, সৌদি জোটের অভ্যন্তরীণ ফাটল সারাতে এবং ইয়েমেনে আরও সমন্বিত সামরিক পদক্ষেপ ও রাজনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আমিরাতকে সংকল্পবদ্ধ করবে।
কেন্ডাল বলেন, হুতিরা বলছে, তারা ওই হামলা করেছে বিরোধী জোটের প্রতি, যাতে ইউএই সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় সে জন্য। তবে ইয়েমেনে নিজেদের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত লক্ষ্য থেকে ইউএইর সরে আসার আপাতত সম্ভাবনা নেই।
আবুধাবিতে আনসারুল্লাহর হামলার আরেকটি পরিণতি হতে পারে। আমিরাতের অনুরোধে এ মিলিশিয়া বাহিনীকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংস্থা’ (এফটিও) হিসেবে আবারও আখ্যা দিতে পারে মার্কিন প্রশাসন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুতিদের এই বাহিনীটিকে এফটিও তালিকাভুক্ত করেছিলেন। পরে ক্ষমতায় আসার পর জো বাইডেন প্রশাসন তা বাতিল করে। তবে ওয়াশিংটন নতুন করে এমন পদক্ষেপ নিলে ইয়েমেনে সহিংসতা আরও বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে, যা সেখানে মানবিক বিপর্যয় আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ইয়েমেন বিশেষজ্ঞ পিটার সালিসবারি বলেন, যদি ইয়েমেন স্থল ও আকাশযুদ্ধ চলমান রাখে, পক্ষগুলো যুদ্ধ চালিয়ে যায় ও যুক্তরাষ্ট্র আনসারুল্লাহকে এফটিও তালিকাভুক্ত করে, তবে জাতিসংঘের ত্রাণ তহবিল গঠনের প্রচেষ্টা ব্যাহত হবে। আর এর ফলে সেখানে মানবিকতার দেখা পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়বে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।
ইয়েমেনে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফিয়েরস্টেইন বলেন, নিজে থেকে যুদ্ধ শেষ না হলে ইয়েমেনে মানবিক পরিস্থিতি উন্নয়নের কোনো কারণ নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ইয়েমেনে ভয়াবহ মানবিক সংকট মোকাবিলার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো সংঘাতের সঙ্গেই অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
ফিয়েরস্টেইন বলেন, যদিও এমন পরিস্থিতিতেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইয়েমেনে মানবিক অবস্থার উন্নয়নে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে। তবে মানবিক অবস্থার উন্নয়ন ততক্ষণ পর্যন্ত ঘটানো যাবে না, যতক্ষণ না সেখানে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরায় শুরু করা যায়। পাশাপাশি মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নে সেখানে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ও দাতাদের প্রবেশে অনুকূল পরিবেশ থাকতে হবে। তবে এসবের কিছুই সম্ভব না, যদি না সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান হয়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইয়েমেনে বিবদমান পক্ষগুলো সামরিক লড়াইয়ের পাশাপাশি অর্থনৈতিক যুদ্ধও চালাচ্ছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিউ আমেরিকার জ্যেষ্ঠ গবেষক অ্যালেক্স স্টার্ক বলেন, ‘খাদ্য বা মানবিক পণ্যের অভাব সমস্যা নয় বা এই পরিস্থিতি ২০১৪ সাল থেকে চলে আসছে, তা-ও নয়। বরং ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি অনেক ইয়েমেনির নাগালের বাইরে খাদ্য ও মৌলিক জিনিসপত্র নিয়ে গেছে।’
অ্যালেক্স স্টার্ক বলেন, দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে যুদ্ধসম্পর্কিত কিছু বিষয় জড়িত। এর মধ্যে বিবদমান পক্ষগুলোর নিজস্ব মুদ্রা ব্যবস্থা চালু, দুর্নীতি, বেকারত্ব অন্যতম।
এমন সংকটে সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয় নিরীহ মানুষকে। ইয়েমেনের সাধারণ মানুষ এ মূল্যই গুনে চলছে। গত ২১ জানুয়ারি উত্তর ইয়েমেনের একটি কারাগারে হুতিবিরোধী বিমান হামলায় অন্তত ৮০ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। যদিও সৌদি জোট এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে। সর্বশেষ ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানী সানায় এ জোট হুতিদের একটি টেলিযোগাযোগ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে।
ইতিমধ্যে ইয়েমেনে নতুন করে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ও প্রাণহানির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতা জারি করেছে ফ্রান্সভিত্তিক বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ)।
গত ১৭ জানুয়ারি আবুধাবিতে হুতিদের আক্রমণের পর থেকে সৌদি ও ইউএই নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ইয়েমেনবিষয়ক গবেষক আফরাহ নাসের। তিনি বলেন, এর পর থেকে সেখানে বেসামরিক নাগরিক ও তাদের স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা বেড়েছে। জাতিসংঘের হিসাবে, জোটের বিমান হামলায় জানুয়ারিতেই ৬৫০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারায়।
আফরাহ নাসের বলেন, ‘এই জোট (সৌদি-ইউএই) বেআইনিভাবে নির্বিচারে ও ভয়াবহ আক্রমণ চালিয়ে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে হত্যা এবং আহত করার একটি জঘন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতির বিচারে এই সংঘাতের মাত্রা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে। আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে চলতি বছরটি সবচেয়ে ভয়ানক হতে পারে।’
১৭ জানুয়ারি হামলার সম্ভাব্য একটি ইতিবাচক দিকও রয়েছে। আর তা হলো, হুতিদের এ হামলা ও সৌদি-ইউএই জোটের পাল্টা হামলা আন্তর্জাতিক মহলের পুনঃমনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে। এমন অবস্থায় কূটনৈতিক তৎপরতাগুলো কার্যকর করা সম্ভব হলে এ রণাঙ্গনের খেলোয়াড়েরা নিজেদের মধ্যে সত্যিকারের আলোচনা শুরু করতে পারে। এ মত বিশ্লেষকদের।
এ ক্ষেত্রে হুতিদেরই সমস্যা হিসেবে দেখছেন অনেক বিশ্লেষক। যেমন এলিজাবেথ কেন্ডাল বলেন, এমন সমঝোতা আলোচনায় সব সময়ের মতো বিশ্বের বড় শক্তির জন্যও হুতিদের প্রভাবশালী মিলিশিয়া আনসারুল্লাহকে প্রভাবিত করাটা কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ, হুতিদের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের খুব কমই প্রভাব রয়েছে। তিনি বলেন, যতবারই সমঝোতামূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, ততবারই হুতিরা এটিকে দুর্বলতা হিসেবে নিয়েছে ও তাদের আক্রমণ বাড়িয়েছে।
ইয়েমেনে যুদ্ধ নিরসনে হুতিদের এটা বিশ্বাস করতে হবে যে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে রাজনৈতিক সমঝোতাই হবে তাদের স্বার্থ হাসিলের উপায়। যেমনটা জেরাল্ড ফিয়েরস্টেইনের ভাষায়, ‘যতক্ষণ না হুতিরা বুঝতে পারবে যে তারা যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো কার্যকর যুদ্ধবিরতি ও আলোচনার প্রচেষ্টা সফল হবে না।’
৩ কোটি জনবসতির (২০২০ সালের হিসাব) ইয়েমেনে বর্তমানে ৫০ হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে। আর ৫০ লাখ মানুষ এই দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফও)। পাশাপাশি সংস্থাটি বলছে, দেশটির মোট জনসমষ্টির ৪৫ শতাংশ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
জাতিসংঘের এক হিসাবে, ইয়েমেন যুদ্ধে ৩ লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ মারা গেছে যুদ্ধের কারণে ঘটা খাদ্যাভাব ও রোগের কারণে। গত নভেম্বরে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে তারা ধারণা করে, ইয়েমেন যুদ্ধ ও যুদ্ধসংশ্লিষ্ট কারণে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের ৭০ শতাংশ পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু।
আর ইয়েমেনে গত বছর পর্যন্ত ৪০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
তহবিলের অভাবে ইয়েমেনে ত্রাণ তৎপরতা ও মানবিক সহায়তায় বিঘ্ন ঘটছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি এ নিয়ে কথা হয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে। সেখানে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হ্যান্স গ্রুন্ডবার্গ ও জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, জরুরি তহবিল সরবরাহ করা না গেলে ৮০ লাখ ইয়েমেনি আগামী মার্চে সব ধরনের মানবিক সাহায্য হারাতে যাচ্ছে। জানুয়ারিতে যুদ্ধের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় জাতিসংঘের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সাহায্য কর্মসূচি বন্ধ হয়ে গেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের মতে, গত বছর ইয়েমেনে মানবিক সহায়তা চালাতে ৩৮৫ কোটি মার্কিন ডলারের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ২২৭ কোটি ডলার পাওয়া গেছে। ২০১৫ সাল থেকে এই তহবিল–স্বল্পতা চলে আসছে। চলতি বছর যে এর উন্নতি ঘটবে, তা বলা যাচ্ছে না।
রাজধানী সানাসহ ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা ২০১৪ সালে নিয়ন্ত্রণে নেয় শিয়া হুতি বিদ্রোহীরা। তারা প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বু মানসুর হাদিকে প্রথমে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ও পরে সৌদি আরবে পালাতে বাধ্য করে। এর পর থেকে সেখানে যুদ্ধ চলে আসছে। এ যুদ্ধের চূড়ান্ত মাত্রা লাভ করে ২০১৫ সালের মার্চে। সে সময় জাতিসংঘের সমর্থনে সৌদি সামরিক জোট দেশটিতে প্রবেশ করে। এই জোট মানসুর হাদিকে তাঁর ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে চায়।
আল-জাজিরা থেকে ভাষান্তর মো. ছানাউল্লাহ