যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা জোট

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজ
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যে একটি আঞ্চলিক আকাশ প্রতিরক্ষা জোট গঠন করছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজ গতকাল সোমবার এ কথা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, এ কাজে ব্যবহৃত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ইতিমধ্যে ইরানের একাধিক হামলার প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়েছে। আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফরে জোট গঠনের প্রক্রিয়াটি আরও গতি পাবে।

ইরান নিয়ে একই ধরনের উদ্বেগ থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র আরব দেশগুলোর সঙ্গে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এই আরব দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি। তবে তারা এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলা থেকে বিরত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র দেশগুলোর মধ্যে আরও বেশি সহযোগিতা আশা করছে, বিশেষ করে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে। এটি এ অঞ্চলে ইসরায়েলের অবস্থানকে আরও সংহত করবে এবং ইরানকে একঘরে করে ফেলবে।

এ উদ্যোগ প্রভাবশালী সৌদি আরবসহ ইসরায়েলের সঙ্গে আরও আরব দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আভাসও বটে। এর আগে ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন।

ইসরায়েলি আইনপ্রণেতাদের ব্রিফ করার সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ জোটের নাম ‘মধ্যপ্রাচ্য আকাশ প্রতিরক্ষা জোট’ বলে জানান। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে এ ধরনের সহযোগিতা শুরু হয়ে গেছে।

দাপ্তরিক বিবৃতিতে বেনি গানৎজকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘গত বছরজুড়ে আমি পেন্টাগন ও মার্কিন প্রশাসনে আমাদের অংশীদারদের নিয়ে বিস্তৃত একটি কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলাম। এটি ইসরায়েল ও এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করবে।’

এতে বলা হয়, ‘এ কর্মসূচি ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে। এটি ইসরায়েল ও অন্যান্য দেশে ইরানের হামলার প্রচেষ্টা ইতিমধ্যেই সফলভাবে ঠেকিয়ে দিতে সাহায্য করেছে।’

এ বিবৃতিতে সহযোগী দেশগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়নি। ঠেকিয়ে দেওয়া হামলার বিষয়েও আর কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া জোট গঠনের প্রক্রিয়া নিয়েও বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

এ বিষয়ে জেরুজালেমে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের বক্তব্য চাইলেও তাৎক্ষণিক তারা কোনো জবাব দেয়নি। নাম না প্রকাশ করার শর্তে রয়টার্সকে ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা বলেন, একই ধরনের প্রকাশ্য যন্ত্রপাতি ও স্থাপনা ব্যবহারের পরিবর্তে সহযোগী দেশগুলো দূরবর্তী ইলেকট্রনিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিজ নিজ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সমন্বিতভাবে পরিচালনা করছে।