পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে অস্ট্রেলিয়া। একই সঙ্গে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে তারা। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তেল আবিব থেকে অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাস সরিয়ে নেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন স্কট মরিসন। আজ শনিবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে জেরুজালেম নিয়ে অনেক দিন ধরেই সংঘাত চলছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েক দশকের মার্কিন নীতির বাইরে গিয়ে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। পরে চলতি বছরের মে মাসে ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিক ও বিদেশি মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার পর স্কট মরিসন তাঁর আগের অবস্থান থেকে সরে এলেন। এর আগে তিনি অখণ্ড জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেছিলেন।
আজ সিডনিতে জেরুজালেমের ব্যাপারে তাঁর সরকারে নতুন ঘোষণার ব্যাপারে মরিসন বলেন, ‘যেহেতু সেখানে নেসেটের আসন এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাই পশ্চিম জেরুজালেমকে এখন থেকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। কার্যকর এবং চূড়ান্ত অবস্থা নির্ধারিত হওয়ার পর পশ্চিম জেরুজালেমে আমাদের দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার দিকে আমরা তাকিয়ে আছি।’
গত অক্টোবর মাসে নীতিমালা পর্যালোচনার ঘোষণার সময় ইসরায়েলর সমর্থন পেলেও ফিলিস্তিন এর সমালোচনা করে।
যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে গুয়াতেমালা ও প্যারাগুয়েও অখণ্ড জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। প্যারাগুয়েতে সরকার পরিবর্তন হলে তারা তাদের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়।
জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী মনে করেন ফিলিস্তিনিরা। তবে আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এবং দীর্ঘদিনের মার্কিন নীতি পাশ কাটিয়ে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
১৯৬৭ সালে ছয় দিন স্থায়ী আবর-ইসরায়েল যুদ্ধের পর জেরুজালেমকে দখল করে ইসরায়েল তা নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে ঘোষণা দেয়। তবে ইসরায়েলের এই দাবি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনো স্বীকৃতি দেয়নি।