অধিকৃত গোলান উপত্যকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে নতুন একটি বসতির উদ্বোধন করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল রোববার ওই বসতির উদ্বোধন করা হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই এলাকায় ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেওয়ায় ট্রাম্পের সম্মানে বসতির নামকরণ করা হয়েছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ট্রাম্পকে ইসরায়েলের অকৃত্রিম বন্ধু বলে ঘোষণা দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক দিন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ইসরায়েলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রাইডম্যান। তিনি এই বসতি ইসরায়েলের প্রাপ্য বলে উল্লেখ করেন।
ওই এলাকায় অবকাঠামোগত কাজ এখনো শুরু হয়নি। তবে ট্রাম্পের নামের একটি ফলক রয়েছে। সেখানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পতাকা। সমালোচকেরা বলছেন, এ ঘটনার আইনগত বৈধতা নেই। এটি নেতানিয়াহুর প্রচারণার কৌশল।
১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে সিরিয়ার গোলান উপত্যকা দখল করে নেয় ইসরায়েল। এই উপত্যকা এখনো ইসরায়েলের দখলে রয়েছে। প্রায় ১ হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটারের এই মালভূমিতে ইসরায়েলের ৩০টির বেশি বসতিতে ২০ হাজারের মতো ইহুদি বসবাস করছে—যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনো ইসরায়েলের এই দখলদারির স্বীকৃতি দেয়নি। অন্যদিকে মালভূমির অপর প্রান্তে বসবাস করছে ২০ হাজারের মতো দ্রুজ আরব জনগোষ্ঠী—যারা ১৯৬৭ সালে যুদ্ধের সময় ওই এলাকা ছেড়ে যাননি, তাদের ওই অঞ্চলের আদি বাসিন্দা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। দীর্ঘদিনের মার্কিন নীতি থেকে সরে এসে ২০১৯ সালের ২৫ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলি দখলদারির স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প।
চলতি বছরের এপ্রিলে অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ট্রাম্পের নামে একটা কমিউনিটি গড়ে তোলার ঘোষণা দেন নেতানিয়াহু। প্রথম ধাপে ১২০টি সেক্যুলার-ধর্মীয় বসতি গড়ে তোলার কথা জানানো হয়।