অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ জন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আল–জাজিরা এসব তথ্য জানিয়েছে।
আজ শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রায় ৩০টি সামরিক যান জেনিনে অভিযান চালায়। শহরের পূর্ব দিকে আল মারাহ এলাকায় একটি গাড়ি ঘেরাও করে গুলি ছোড়েন ইসরায়েলি সেনারা। এতে গাড়ির ভেতরে থাকা চার ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। অপরজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেছে ওয়াফা। তাঁরা হলেন—বারা লাহলুহ (২৪), ইউসুফ সালাহ (২৩) ও লাইথ আবু সুরুর (২৪)।
হিব্রু ভাষায় লেখা একটি সংক্ষিপ্ত বার্তায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, দুটি আলাদা এলাকায় অস্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে তারা। অভিযান চলাকালে সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছেও বলেও উল্লেখ করা হয়।
সেনাবাহিনীর বার্তায় বলা হয়, ‘যে সেনাসদস্যরা সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।’ ঘটনাস্থল থেকে দুটি এম-সিক্সটিন অ্যাসল্ট রাইফেল ও কার্টিজসহ বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বার্তায়।
জেনিনের বাসিন্দাদের সন্দেহ, ইসরায়েলিরা তেল আবিবের হামলাকারী রায়েদ হাজেমের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। গত ৭ এপ্রিল রায়েদ হাজেমের গুলিতে তিন ইসরায়েলি নিহত হন। পরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন তিনি।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সশস্ত্র যোদ্ধাদের প্রতিরোধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সম্প্রতি অধিকৃত জেনিন শিবির এলাকাজুড়ে অভিযান জোরদার করেছে। এমন অবস্থায় ইসরায়েলি বাহিনী শিবিরে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই জেনিন শিবিরে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ এবং ফাতাহ মুভমেন্টের কর্মীরা সক্রিয়।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের অনেকেই ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন। মার্চ থেকে ফিলিস্তিনিদের হামলায় ১৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।