ওমান উপসাগরে পানামার পতাকাবাহী এমভি অ্যাসফাল্ট প্রিন্সেস নামের বিটুমিন বহন করা একটি ট্যাংকার ছিনতাইয়ের পর সেটি থেকে ছিনতাইকারীরা চলে গেছেন। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, ওমান উপসাগরে যাঁরা ট্যাংকারে চড়ে এটি জব্দ করেছিলেন, তাঁরা ট্যাংকার ছেড়ে গেছেন। এখন যাঁরা ট্যাংকারে অবস্থান করছেন, তাঁরা সবাই নিরাপদে আছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, এমভি অ্যাসফাল্ট প্রিন্সেসের সম্ভাব্য ছিনতাই শেষ হয়েছে। কিন্তু তাঁরা বিস্তারিত জানাননি।
বিবিসির আগের খবরে বলা হয়, গত মঙ্গলবার হরমুজ প্রণালিতে যাওয়ার পথে বিটুমিন ট্যাংকারটি আটক করা হয়। হরমুজ প্রণালি পারস্য উপসাগরকে ওমান উপসাগর ও আরব সাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। নৌপথে পাঁচ ভাগের এক ভাগ জ্বালানি তেল এ প্রণালি দিয়ে আনা-নেওয়া করা হয়।
তবে ট্যাংকার কারা ছিনতাই করেছিল, তা এখনো স্পষ্ট না। এর পেছনে ইরানের হাত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা। তবে এ অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছে ইরান। এটিকে তেহরানের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক পদক্ষেপ বলে দাবি করেছে দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ড।
এর কয়েক দিন আগেও ওমান উপসাগরে ইসরায়েলি মালিকানাধীন একটি ট্যাংকার হামলার শিকার হয়। এতে ওই ট্যাংকারের দুই ক্রু নিহত হন। তাঁরা যুক্তরাজ্য ও রোমানিয়ার নাগরিক। এ নিয়ে ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর বিরোধ বাড়ছে। কারণ, ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েল। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে এ ঘটনা ঘটল।
এমভি অ্যাসফাল্ট প্রিন্সেস ছিনতাইয়ের বিষয়ে বিবিসির নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিবেদক ফ্রাঙ্ক গার্ডনার বলেন, ট্যাংকারের মালিক দুবাইভিত্তিক একটি কোম্পানি। দুই বছর আগে এ প্রতিষ্ঠানের একটি ট্যাংকার ছিনতাই করেছিল ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড। ফ্রাঙ্ক গার্ডনার বলেন, এমভি অ্যাসফাল্ট প্রিন্সেস হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশের একটু আগে সেটিতে নয়জন সশস্ত্র ব্যক্তি ওঠেন। তাঁরাই এটি ছিনতাই করেন।
এদিকে ট্যাংকার ছিনতাইয়ের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র। এ ঘটনাকে খুবই বিরক্তিকর বলে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস।