ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট প্রথমবারের মতো বাহরাইন সফরে গিয়ে সেখানকার ইহুদি সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। গত সোমবার বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিন রাশিদ আল-জায়ানি মানামা বিমানবন্দরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। মঙ্গলবার বাহরাইনের বাদশা হামাদ ও যুবরাজ সালমানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন বেনেট।
ইসরায়েলের সঙ্গে আব্রাহাম চুক্তির অধীনে ২০২০ সালে সম্পর্ক স্থাপন করে বাহরাইন ও আরব আমিরাত। বেনেট গত ডিসেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন। সে ধারাবাহিকতায় বেনেট বাহরাইন সফর করছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাহরাইনে ইহুদি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বেনেট বলেছেন, ‘বাহরাইনে আসতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। এখানে নিজ সম্প্রদায়কে দেখে সফর শুরু করার মতো আর কোনো ভালো উপায় ভাবতে পারি না।’
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আঞ্চলিক উত্তেজনার সময়ে বেনেট এই সফর করছেন। ইরান যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
চুক্তিটিতে তেহরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে ধরার প্রস্তাব দিয়েছে।
বেনেটের সরকার ইরানের ওই ২০১৫ সালের চুক্তিতে প্রত্যাবর্তনের বিরোধিতা করছে। এদিকে ইসরায়েল সতর্ক করে বলছে, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে ব্যবহারে অস্ত্র কিনতে আরও অর্থ পাবে দেশটি।
এদিকে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ তুরস্ক সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গতকাল প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়। দুই দেশের মধ্যে বছরের পর বছর বিপর্যস্ত সম্পর্কের পর একে বিরল সফর হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত মাসে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছিলেন, ফেব্রুয়ারিতে তিনি হেরজগরের সফর প্রত্যাশা করছেন। ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরুর প্রত্যাশার কথা বলেন তিনি। তুরস্কের টিআরটি টেলিভিশন বলছে, আগামী মাসের ৯ বা ১০ তারিখ হেরজগ তুরস্ক সফর করতে পারেন।
২০১০ সালে গাজা উপত্যকার সাহায্য বহনকারী তুর্কি জাহাজে ইসরায়েলি হামলায় ১০ বেসামরিক লোকের মৃত্যুর পর তুরস্ক এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়।