সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট আজ শুক্রবার ইয়েমেনের বন্দরনগরী হোদেইদাহে সামরিক অভিযান শুরু করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
সৌদির রাষ্ট্রমালিকানাধীন তেল সংস্থা আরামকোর দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় গত সপ্তাহান্তে হামলা হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এই ঘটনার পর সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট আজ ইয়েমেনের হোদেইদাহে সামরিক অভিযান শুরু করল।
হুতি বিদ্রোহীরা আরামকোর স্থাপনায় হামলার দায় নিলেও তা নাকচ করে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলছে, হামলার পেছনে ইরানের হাত রয়েছে।
ইয়েমেনের হোদেইদাহে আজ সৌদি জোটের শুরু করা সামরিক অভিযানের জেরে আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সৌদি জোট বলছে, হোদেইদাহে বেশ কয়েকটি স্থানে তারা হামলা চালিয়েছে। এসব স্থান হামলা চালানো ও সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করা হতো। সৌদি জোটের হামলায় লক্ষ্যবস্তুগুলো ধ্বংস হয়েছে।
সৌদি জোটের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল-মালকি এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাব এল-মান্দেব প্রণালি, দক্ষিণ লোহিত সাগরে শিপিং লাইনসহ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে পড়েছিল। সেই হুমকি প্রশমনে অভিযান চালানো হয়েছে।
পশ্চিমা-সমর্থিত সৌদি জোট ২০১৫ সালের মার্চে ইয়েমেনে সামরিক হস্তক্ষেপ করে। সেই থেকে তারা ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে।
সৌদি জোট হোদেইদাহের বেসামরিক লোকদের সামরিক লক্ষ্যবস্তু থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তারা দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুসরণ করেই সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে।