ঘর গুছিয়ে রাখছে ইঁদুর

বাসায় রাতে অনেক জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় থেকে যায়। প্রায় দিন সকালেই এসব জিনিস বেশ গোছানো থাকতে দেখেন। এতে ধন্দে পড়ে যান যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের অবসরে যাওয়া ডাক বিভাগের কর্মকর্তা রডনি হলব্রুক। বিষয়টি নিয়ে তিনি বেশ কৌতূহলী হয়ে পড়েন।

কে তাঁর জিনিসপত্র গুছিয়ে দিয়ে যায়? বিষয়টি ধরতে তিনি ক্যামেরা বসালেন। সাদাকালো ভিডিও চিত্রে যা ধরা পড়ল, তা দেখে তিনি রীতিমতো হতভম্ব। তাঁকে সাহায্যকারী বন্ধু আর কেউ নয়, একটি ছোট্ট ইঁদুর।

রডনি দেখেন, তিনি যেখানে কাজ করেন, সেই টেবিলে থাকা জিনিসপত্র একটি ছোট বাক্সে গুছিয়ে রাখছে ইঁদুরটি। টানা দুই মাস ধরে এ কাজ করে চলেছে সে। রডনি এখন বন্য প্রাণী আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলেন, তিনি যেসব জিনিসপত্র অগোছালো করে রাখেন, পরদিন তা আবার ইঁদুরটিকে একটি বাক্সে তুলে রাখতে দেখেন তিনি। টানা দুই মাস ধরে এভাবেই চলেছে।

সেন্ট্রাল ওয়েলসের ছোট্ট শহর বিল্টথ ওয়েলসের বাসিন্দা রডনির ভাষ্য, ‘প্রথমে খেয়াল করলাম, পাখির জন্য রাখা কিছু খাবার পুরোনো জুতার মধ্যে গোছানো। এটা দেখে কৌতূহল হলো। বিষয়টি জানার জন্য নাইট ভিশন ক্যামেরা বসালাম। এরপর ক্যামেরায় ধরা পড়ল বাড়িতে থাকা ইঁদুরটি।

ভিডিওতে দেখা গেল, স্ক্রুড্রাইভার, ছেঁড়া কাপড়চোপড়, তারের টুকরাসহ নানা জিনিস মুখে করে নিয়ে একটি বাক্সে রাখছে ইঁদুরটি। মজার বিষয় হলো, যে বাক্সটিতে সে জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখছিল, সেটির উচ্চতা ইঁদুরটির চেয়েও বেশি। ইঁদুরটি এমন কিছু জিনিস পরিষ্কার করেছে, যা সত্যিই অস্বাভাবিক মনে হয়েছে।

অবশ্য রডনি হলব্রুকের এ ধরনের অভিজ্ঞতা এটাই প্রথম নয়। তিনি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ২০১৯ সালে তাঁর এক বন্ধুর জন্যও তিনি রাতে দেখার ক্যামেরা (নাইট ভিশন) বসিয়েছিলেন। সেখানেও তিনি একটি ইঁদুরকে এভাবে তাঁর বন্ধুর বাসার জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে দেখেছিলেন।