প্যাপিরাসের নৌকায় আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেন
প্যাপিরাসের নৌকায় আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেন

প্যাপিরাসের নৌকায় মহাসাগর পাড়ি

বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচিত হয় অনেক কিছুর। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। তবে কিছু কিছু বিষয় দাগ কাটে মানুষের মনে, স্থায়ীভাবে ঠাঁই পায় ইতিহাসে। তেমন কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ১৭ মে। ফিরে দেখা যাক উল্লেখযোগ্য কী ঘটেছিল এই দিনে। ‘অন দিজ ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম।

নরওয়ের বিজ্ঞানী থর হেয়েরদাহল প্যাপিরাস (এক ধরনের উদ্ভিদ যা থেকে প্রাচীন মিশরে কাগজ তৈরি হতো) দিয়ে একটি নৌকা তৈরি করিয়েছিলেন। বড়সড় এই নৌকায় চেপে তিনি সাগর পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। ১৯৭০ সালের এ দিনে তিনি কয়েকজন ক্রু সঙ্গে নিয়ে মরক্কোর উপকূল থেকে কাগজের নৌকায় চেপে বসেন। উদ্দেশ্য আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেওয়া। ৫৭ দিন ভেসে থাকার পর থর ও তাঁর সঙ্গীরা আটলান্টিকের ওপারে বারবাডোসে গিয়ে পৌঁছান।

প্রথম রঙিন আলোকচিত্র প্রদর্শন

ক্যামেরা আবিষ্কার হয়েছিল আগেই, কিন্তু তখন ছবি তোলা হতো সাদা–কালো। ১৮৬১ সালে ক্যামেরার ইতিহাসে নতুন মাইলফলক যুক্ত হয়। এ দিন প্রথমবারের মতো রঙিন আলোকচিত্র প্রদর্শন করেন স্কটল্যান্ডের জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল। যুক্তরাজ্যের লন্ডনের কিংস কলেজে এই ছবি প্রদর্শন করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্কুলে একসঙ্গে ক্লাস করছে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ শিশুরা

সাদা–কালোদের আলাদা স্কুল অবৈধ

বর্ণবাদের থাবায় এক সময় যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের আলাদা স্কুলে পড়াশোনা করতে হতো। তখন এটাই ছিল প্রচলিত নিয়ম। ১৯৫৪ সালে প্রথমবারের মতো এই নিয়ম বাতিল হয়। ওই বছরের ১৭ মে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে বলেন, শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের আলাদা স্কুল বেআইনি।

নেদারল্যান্ডসের ‘কুইন কনসর্ট’ ম্যাক্সিমা

‘রানি’ ম্যাক্সিমার জন্ম

নেদারল্যান্ডসের ‘কুইন কনসর্ট’ ম্যাক্সিমা। অভিবাসীদের সহায়তা, নারী উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখায় তাঁর বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। ১৯৭১ সালের এ দিনে ম্যাক্সিমার জন্মগ্রহণ করেন।