আয়ারল্যান্ডের ক্ষমতাসীন দল ফাইন গায়েলের নেতা হিসেবে লিও ভারাদকারের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সিমন হ্যারিস। গতকাল রোববার তাঁকে দলটির নেতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ৩৭ বছর বয়সী হ্যারিস আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
আয়ারল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে ‘টিশক’ নামে ডাকা হয়। আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমগুলো ইতিমধ্যে সিমন হ্যারিসকে ‘টিকটক টিশক’ নামে ডাকতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলে হ্যারিস তাঁর পূর্বসূরি ভারাদকারের রেকর্ড ভাঙবেন। ২০১৭ সালে ভারাদকার যখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন, তখন তাঁর বয়স ৩৮ বছর ছিল। আর হ্যারিসের বয়স এখন ৩৭ বছর।
গত বুধবার আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন লিও ভারাদকার। এরপরই দলীয় নেতৃত্ব লাভের লড়াইয়ে নামেন হ্যারিস। নিয়ম অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন দলের নেতাই প্রধানমন্ত্রী হন। সে অনুযায়ী, ফাইন গায়েল দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার মানেই হলো তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন।
গত বৃহস্পতিবার দলীয়ভাবে ভোটাভুটি হয়। এদিন দুপুর নাগাদই সিমন হ্যারিস সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেন। এমন অবস্থায় অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা লড়াই থেকে নিজেরাই নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে সিমন হ্যারিসকে দলের নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৯৮৬ সালে ডাবলিনের কাছে উপকূলীয় গ্রেস্টোনস শহরে সিমন হ্যারিসের জন্ম। তিনি একজন ট্যাক্সিচালকের সন্তান। তিনি কলেজে সাংবাদিকতার একটি কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে তা শেষ হওয়ার আগেই ঝরে পড়েন। ডাবলিনে ফরাসি ভাষাতেও একটি কোর্স করছিলেন। তবে এক বছরের মাথায় সেটিও বন্ধ করে দেন। কারণ, তত দিনে হ্যারিস ঠিক করে ফেলেছেন, তিনি রাজনীতিক হবেন।
প্রতিবন্ধী ছোট ভাইকে দেখে সিমন হ্যারিস প্রতিবন্ধীদের সেবায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালাতেন। আর এভাবেই তাঁর রাজনীতিতে প্রবেশ। পরে তিনি একটি দাতব্য সংস্থা গড়ে তোলেন।
১৬ বছর বয়সে সিমন হ্যারিস ফাইন গায়েল দলে কম বয়সীদের শাখায় যোগ দেন। পরে দ্রুতই তাঁর রাজনৈতিক উত্থান ঘটে।
২০১৬ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে হ্যারিস আয়ারল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন।