সাগরে এক নতুন ধরনের মাছের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা একে ‘বদমেজাজি চেহারার’ মাছ বলে বর্ণনা করেছেন। তাই এ মাছের নামকরণ করা হয়েছে গ্রাম্পি ডোয়ার্ফগোবি। নতুন পাওয়া এ মাছের প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম সুয়েভিওতা এথন।
লোহিত সাগরের প্রবালপ্রাচীরের মধ্যে পাওয়া গেছে এ মাছের সন্ধান। প্রবালপ্রাচীরের ছোট ছোট গর্ত ও ফাটলের ভেতর মাছগুলোর বসবাস। গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষকেরা বলেন, মাছটির মুখের গঠন এমন, যেন দেখে মনে হয় এটি রেগে আছে ও অখুশি।
গ্রাম্পি ডোয়ার্ফগোবি নামকরণের পেছনে কয়েকটি কারণ আছে। চেহারার রাগী ধরনের কারণে ‘গ্রাম্পি’ নামটি এসেছে। ‘ডোয়ার্ফ’ (বামন) বলা হচ্ছে এর ছোট আকারের কারণে। মাছটি লম্বায় দুই সেন্টিমিটারের কম। আর ‘গোবি’ নামটি আসার কারণ, মাছটি গোবিডি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। গোবিডি পরিবারে দুই হাজার প্রজাতির মতো সদস্য আছে।
সৌদি আরবের কিং আবদুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক নতুন আবিষ্কৃত মাছটি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছেন। পেনসফটের জুকিস সাময়িকীতে এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রথম সৌদি আরবের প্রবালপ্রাচীর এলাকা ফারাসান ব্যাংকসে নতুন প্রজাতির মাছটি আবিষ্কৃত হয়। পরে লোহিত সাগরে থুয়াল উপকূলীয় এলাকার কাছে আরও কিছু নমুনা পাওয়া যায়।
প্রবালপ্রাচীরের মাছের বৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করতে গিয়ে গবেষক ভিক্টর নুনেস প্রথম গ্রাম্পি ডোয়ার্ফগোবির অস্তিত্ব খুঁজে পান। দেখা যায়, গ্রাম্পি ডোয়ার্ফগোবির রাগী চেহারা মাছটিকে অন্যদের থেকে ভিন্নতা দিয়েছে।
গবেষকেরা বলেছেন, এটি অপেক্ষাকৃত বিরল প্রজাতির মাছ। সম্ভবত এ কারণেই এটি এত দিন অনাবিষ্কৃত ছিল।
গবেষক লুসিয়া পোম্বো আয়োরা নতুন আবিষ্কৃত মাছটির নামকরণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এটিকে তার নিজের ক্ষুদ্রজগতে এক ভয়ংকর শিকারি হিসেবে কল্পনা করি। আকারে ছোট হলেও এর রাগী অভিব্যক্তি ও বড় দাঁত নিশ্চিতভাবেই এটিকে আলাদা করেছে।’