বিমানবন্দরে এই সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়েছ
বিমানবন্দরে এই সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়েছ

বিদায়ী আলিঙ্গনের সময় ৩ মিনিট

কারও প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে মানুষ আলিঙ্গন করে। প্রিয় কেউ দূরে চলে যাচ্ছেন; বিমানবন্দরে তাঁকে ছেড়ে আসতে গিয়ে শেষ মুহূর্তে আমরা কম-বেশি সবাই আলিঙ্গন করি। তবে সেই আলিঙ্গন শেষ করতে যদি আপনার দীর্ঘ সময় লাগে, তবে নিউজিল্যান্ডের ডুনেডিন বিমানবন্দরে আপনি সমস্যায় পড়তে চলেছেন। সাউথ আইল্যান্ডের এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আলিঙ্গনের জন্য সর্বোচ্চ তিন মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

বিমানবন্দরের ড্রপ-অফ জোনে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও উন্নত করতে এবং সেখানে ভিড় এড়াতে নতুন এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। বিমানবন্দরে ঢোকার আগে যাত্রীরা যেখানে নামেন (ড্রপ-অফ জোন), সেখানে একটি সাইনবোর্ডও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। লেখা আছে ‘আলিঙ্গনের সর্বোচ্চ সময় ৩ মিনিট।’

সাইনবোর্ডের নিচের দিকে লেখা, ‘অতিশয় অনুরাগী আলিঙ্গনের জন্য দয়া করে কার পার্ক (গাড়ি রাখার জায়গা) ব্যবহার করুন।’

গত মাস থেকে ডুনেডিন বিমানবন্দরে এই সাইনবোর্ড দেখা যাচ্ছে। অনেকে সাইনের ছবি তুলে বা ভিডিও করে তা অনলাইনে পোস্ট করছেন। ঘটনাটি অনলাইনে বেশ আলোড়ন তুলেছে। কেউ কেউ তীব্র সমালোচনা করে একে ‘অমানবিক’ বলেছেন। তাঁরা বলেছেন, কেউ কতক্ষণ আলিঙ্গন করবেন, সেটা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দিতে পারে না।

তবে কেউ কেউ ডুনেডিন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এই আচরণকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ বলে এর প্রশংসা করেছেন। কারণ, বিশ্বের অনেক বিমানবন্দরে ড্রপ-অফ জোনে যেতে ফি (নির্দিষ্ট অর্থ) দিতে হয়।

ড্রপ-অফ জোনে তিন মিনিটের মধ্যে আলিঙ্গন শেষ করার নিয়ম চালু করলেও সেটা বাস্তবায়নে বিমানবন্দরে বিশেষ কোনো বাহিনী থাকবে না। ডুনেডিন বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড্যান ডে বোনো এ কথাই বলেছেন। তবে কর্মীরা হয়তো খুব ভদ্রতার সঙ্গে দীর্ঘ আলিঙ্গনকারীদের গাড়ি রাখার জায়গায় যেতে বলতে পারেন।

ডে বোনো বলেন, ‘আমরা এখানে লোকজনকে কতক্ষণ আলিঙ্গন করা উচিত, সেটা বলতে চাইছি না; বরং এটা বার্তা দেওয়া যে দয়া করে সামনে যান এবং অন্যদের সুযোগ দিন।’