স্বামী ঝগড়া করেন না, তাই বিচ্ছেদ চান স্ত্রী

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিবাহবিচ্ছেদ এখনকার দিনে একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। যৌতুক, স্বামীর নির্যাতন, মারধর, প্রতারণা—নানা কারণে একসময়ের দুটি প্রিয় মানুষ অচেনা হয়ে ওঠেন। কেউ কেউ কোনো উপায় না পেয়ে এই সম্পর্ক টেনে চলেন, আবার অনেকে বাকি জীবনটা ভালো থাকার আশায় এই বন্ধন থেকে মুক্তি চান। তাই বলে অতিরিক্ত ভালোবাসার কারণে কেউ বিচ্ছেদ চান, এটা শুনলে যে কেউ প্রথমে চোখটা কুঁচকে ভাববেন, ঠিক শুনলেন তো! দ্বিতীয়বার জানতে চেয়েও একই উত্তর শুনবেন।

ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের এক নারী তাঁর স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ চেয়ে আবেদন করেছেন। ওই নারীর অভিযোগ, তাঁর স্বামী তাঁকে অনেক ভালোবাসেন, সব মনোযোগ তাঁর দিকে। এমনকি তাঁদের বিয়ের ১৮ মাস হয়ে গেলেও তিনি (স্বামী) ঝগড়া করেননি। মুম্বাইভিত্তিক আইনজীবী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তনয়া আপাচু কৌলের মাধ্যমে ওই নারী বিচ্ছেদের আবেদনটি করেছিলেন। তনয়া জানান, আবেদনটি সম্ভবত ২০২০ সালের।

তনয়া বিবাহবিচ্ছেদের অনেক মামলা পরিচালনা করেছেন। সম্প্রতি তিনি বিচ্ছেদের আবেদনের কী কী কারণ থাকতে পারে, তার একটি তালিকা তৈরি করেছেন। তালিকাটি তিনি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। এ নিয়ে বেশ সাড়াও পড়েছে। যদিও অনেকে বিচ্ছেদের জন্য সমাজের পিতৃতান্ত্রিক মনোভাবকে দায়ী করেছেন, কেউ কেউ আবার মনে করছেন বিয়ে হচ্ছে মিথ্যা জাল।

ওই তালিকায় অনেক কারণের মধ্যে রয়েছে—মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্ত্রী ‘অশ্লীল পোশাক’ পরেছেন; স্বামী ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত, স্ত্রীকে যথেষ্ট সময় দেন না; স্বামীর পা ধরতে স্ত্রীর আপত্তি; স্ত্রী রান্না জানেন না এবং নাশতা না করেই স্বামীকে খালি পেটে কাজে যেতে হয়—এমন অনেক কিছু।

এই রিলে এক লাখের বেশি লাইক পড়েছে। ১৬ লাখ মানুষ দেখেছেন। রিলের ক্যাপশন ছিল, ‘আপনাকে বিয়ে করতে হবে কেন?’ একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মানুষ এখন বিয়ের অনুষ্ঠানকে উদ্‌যাপন করতে চায়, বিয়েটা করতে চায় না।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘বিবাহপূর্ব কাউন্সেলিং বাধ্যতামূলক করা উচিত।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘লক্ষ করুন, কী কারণে পুরুষেরা বিবাহবিচ্ছেদের চাইছেন। কারণ, স্ত্রীরা তাঁদের মান্য করেন না এবং স্ত্রীরা স্বামীর কাছ থেকে ভালোবাসা পান না।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘লোকজনের বিয়েই বন্ধ করা উচিত।’