ভারতে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক নেতারা নানা ধরনের প্রচারণায় মেতেছেন। নানা ঢঙে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে সংবাদের শিরোনাম হচ্ছেন তাঁরা। তেমনই একজন পদ্মশ্রী পুরস্কার বিজয়ী এস দামোদারন। তিনি তিরুচিরাপপল্লি লোকসভা আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী। সম্প্রতি দামোদারনকে সবজি বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে দেখা গেছে। তিনি ফুলের মালা তৈরি করেছেন, এমনকি সবজিও বিক্রি করেছেন।
৬২ বছর বয়সী এস দামোদারন তিরুচিরাপপল্লির বাসিন্দা। তিনি গ্যাস স্টোভ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁকে শহরের গান্ধী মার্কেটে সাধারণ জনগণ ও সবজি বিক্রেতাদের কাছে ভোট চাইতে দেখা গেল।
এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দামোদারন বলেন, ‘আমি ত্রিচি নির্বাচনী আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আমি ভূমিপুত্র। আমি ত্রিচি শহরের বাসিন্দা। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে আমি স্যানিটেশন কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছি। ২১ বছর বয়সে আমি ক্যারিয়ার শুরু করি। এখন আমার বয়স ৬২ বছর। স্যানিটেশন খাতে অবদানের জন্য ৬০ বছর বয়সে আমি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছ থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার পাই।’
দামোদারন জানান, তাঁর কাজ হলো গ্রাম ও শহর এলাকাগুলোয় পানি ও স্যানিটেশন সুবিধার ব্যবস্থা করা।
দামোদারন বলেন, তিনি ২১ বছর বয়স থেকে সমাজসেবা শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত ভারতের ৯ জন প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় দেখেছেন তিনি।
দামোদারন বলেন, ‘আমি ২১ বছর বয়সে যখন সমাজসেবা শুরু করি, তখন রাজীব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আমি আমার জীবনে ৯ জন প্রধানমন্ত্রীকে বদল হতে দেখেছি। কেন্দ্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যত গ্রামীণ স্যানিটেশন কর্মসূচি পরিচালিত হয়, তার সব কটির অধীনেই কাজ করেছি আমি। প্রতিটি গ্রামকে রোল মডেল গ্রামে পরিণত করেছি।’
অন্য ধরনের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যাপারে দামোদারন বলেন, ‘আজ আমি গান্ধী মার্কেট এলাকায় প্রচারণা শুরু করেছি। এটি আমাদের সংসদীয় আসনের মধ্যে পড়ে। যেখানেই যাচ্ছি, আমি অসাধারণ রকমের অভ্যর্থনা পাচ্ছি।’
পদ্মশ্রী পুরস্কারটি ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। সামাজিক কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এস দামোদরনকে এ পুরস্কার দিয়েছে।