পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (বাঁয়ে) ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (বাঁয়ে) ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

রাজ্যপাল সি ভি বোসকে নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য করতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: হাইকোর্ট

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে নিয়ে মন্তব্য করতে পারবেন। তবে তা মানহানিকর হতে পারবে না। শুক্রবার রাজ্যের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন।

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ২ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একটি মানহানি মামলা করেন। শুনানি শেষে ১৬ জুলাই সেই মামলায় বিচারপতি কৃষ্ণা রাও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে মমতা ডিভিশন বেঞ্চে যান। ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে শুক্রবার উল্লিখিত নির্দেশ দেন।

এরপরে ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি একক বেঞ্চের বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন। বেঞ্চটি এখন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে রাজ্যপালের মানহানি হয়েছিল কি না, তা বুঝতে চেষ্টা করবেন।

জানা যায়, রাজ্যের উপনির্বাচনে তৃণমূলের দুই বিধায়ক অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান কোথায় হবে, তা নিয়ে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। রাজ্যপাল চাইছিলেন রাজভবনে এসে বিজয়ী প্রার্থীরা শপথ গ্রহণ করুক। মুখ্যমন্ত্রী চাইছিলেন শপথ গ্রহণ হোক বিধানসভা ভবনে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা রাজভবনে শপথ গ্রহণ না করার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘কেন রাজভবনে যেতে হবে? কেন উনি বিধানসভা ভবনে আসবেন না? রাজভবনের যা কীর্তিকলাপ চলছে, সেখানে যেতে মেয়েরা ভয় পাচ্ছে।’

মমতার এমন মন্তব্যে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
এরই মধ্যে রাজ্যপালের দপ্তর ও বাসভবন রাজভবনের এক নারী কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা নিয়ে রাজ্যে তোলপাড় হয়। তবে রাজভবনের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।