পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির গজলডোবার তিস্তা ব্যারেজ
পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির গজলডোবার তিস্তা ব্যারেজ

পশ্চিমবঙ্গে তিস্তার পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা

ভারতের সিকিম রাজ্য থেকে নেমে আসা তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। উত্তর সিকিম থেকে জলপাইগুড়িতে নেমে আসা তিস্তার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে দুই কূল। উত্তর সিকিমে তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে সিকিম রাজ্য সরকার নিচু এলাকার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে।

তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জলপাইগুড়ির গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজের ১ হাজার ১০০ কিউসেক পানি গতকাল শনিবার ছাড়া হয়েছে। এই পানি ছাড়া হয়েছে তিস্তা ব্যারেজের ছয়টি স্লুইসগেট থেকে। এই গজলডোবা থেকে তিস্তা নদী বাংলাদেশে গিয়ে পড়েছে।

গজলডোবা এলাকায় তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদীর দুই পারের মানুষ। তাঁদের আশঙ্কা, সিকিম থেকে নেমে আসা তিস্তার পানিতে বন্যা দেখা দিতে পারে।

উত্তর সিকিমে বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় ধস নামায় ১ হাজার ২০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন। এই পর্যটকদের সিংহভাগ পশ্চিমবঙ্গের। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের ১০ পর্যটকসহ থাইল্যান্ডের ২ জন এবং নেপালের ৩ পর্যটক রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারে সেনা নামানো হয়েছে।

সড়ক ও পাহাড়ের অংশে ধস নামায় পর্যটকেরা আটকা পড়েছেন। পর্যটকদের উদ্ধারে সিকিম সরকার সেনা নামিয়ে নতুন করে বেইলি ব্রিজ তৈরি করে পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় উত্তর সিকিমে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। কুয়াশার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। সিকিম সরকার ওই রাজ্যে আসা পর্যটকদের হোটেল বা যে যেখানে আছেন, সেখানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

সিকিমের মঙ্গন জেলার লাংচু এলাকায় আটকা পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও নেপালের পর্যটকেরা। তাঁদের উদ্ধার ও খাদ্যদ্রব্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিয়েছে সিকিম সরকার। সিকিম লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলার তিস্তা বাজারের ব্রিজ ডুবে যাওয়ায় এবং সড়কে পাহাড়ি ধসের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

সিকিমের পর্যটনসচিব সি এস রাও বলেন, আটকে পড়া বা হোটেলে অবস্থান করা কোনো পর্যটক যেন ঝুঁকি না নেন। তাঁদের জন্য মজুত রয়েছে প্রচুর খাবার। যদিও তিস্তা বাজার থেকে দার্জিলিংয়ে যাওয়ার পেশক রোড এখনো বন্ধ রয়েছে। এ রাস্তার পাশে বিপজ্জনকভাবে বইছে তিস্তা নদী।