দুর্নীতির দায়ে কারাবন্দী পশ্চিমবঙ্গের বরখাস্ত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী হিসেবে পরিচিত মডেল অভিনেত্রী অর্পিতা মুখার্জি সেখানকার খাবারে একদম সন্তুষ্ট নন। তাঁরা মুখে রুচি ফেরাতে তালিকার বাইরের খাবার চাচ্ছেন।
পশ্চিমবঙ্গের দুটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, এ দুজন এখন আদালতের নির্দেশে ইডির হেফাজতে সিজিও কমপ্লেক্সের কারাগারে অবস্থান করছেন। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ তাঁদের যে খাবার পরিবেশন করছে, তাতে একদম সন্তুষ্ট নন তাঁরা। পার্থ আবদার করেছেন, তাঁকে যেন খাসির মাংসের ঝোল আর তেলেভাজা কিছু খেতে দেওয়া হয়। আর অর্পিতাও দাবি করেছেন, তিনি খেতে চান শুকনা ফল আর ব্ল্যাক কফি।
তবে কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, আদালতের নির্দেশে তাঁদের খাবারের চার্ট তৈরি করা হয়েছে। সেই চার্ট অনুযায়ী তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে। কারা কর্তৃপক্ষ এর বাইরে খাবার দিতে পারে না।
এখন প্রতিদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেওয়া হচ্ছে সকালে এক কাপ লিকার চা ও দুটি ক্রিম ক্রেকার বিস্কুট। নাশতায় দেওয়া হচ্ছে ওটসের খিচুড়ি। এক ঘণ্টা পর দেওয়া হচ্ছে দুই ধরনের ফল। মধ্যাহ্নভোজে দেওয়া হচ্ছে ভাত, ডাল, দুই টুকরা মুরগির মাংসসহ পাতলা ঝোল। মধ্যাহ্নভোজের পর দেওয়া হচ্ছে মুসাম্বি লেবু। বিকেলে দেওয়া হচ্ছে মুড়ি ও বিস্কুট। আর রাতে দেওয়া হচ্ছে দুটি রুটি ও সবজি।
অর্পিতাকে দেওয়া হচ্ছে তেল-মসলাহীন খাবার। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দেওয়া হচ্ছে চিনি ছাড়া লিকার চা ও দুটি ক্রিম ক্রেকার বিস্কুট। নাশতায় দেওয়া হচ্ছে চারটি ব্রাউন ব্রেড, ডিম সেদ্ধ ও কলা। এক ঘণ্টা পর দেওয়া হচ্ছে দুই রকমের ফল।
মধ্যাহ্নভোজে দেওয়া হচ্ছ ভাত, ডাল, সবজি ও মাছ। বিকেলে চা, বিস্কুট। আর রাতে দেওয়া হচ্ছে দুটি রুটি ও সবজি।
বেশ কিছুদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের স্কুলশিক্ষক নিয়োগে এই রাজ্যের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী, পরে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জমা হচ্ছিল ইডির কাছে। ইডিও তদন্ত শুরু করে পার্থর বিরুদ্ধে। ইডির দল হাজির হয় দক্ষিণ কলকাতার নাকতলার পার্থর বাড়িতে। জেরা চলে টানা ১৯ ঘণ্টা। তারপর ২৩ জুলাই পার্থ গ্রেপ্তার হন ইডির হাতে। পরে পার্থর বান্ধবী অর্পিতার বেলঘরিয়া ও টালিগঞ্জ আবাসন থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ কোটি রুপি।