ইন্দিরা-রাজীব হত্যা ছিল দুর্ঘটনা: উত্তরাখন্ডের মন্ত্রী

ভারতের উত্তরাখন্ডের মন্ত্রী গণেশ যোশি
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

ভারতের উত্তরাখন্ডের বিজেপির মন্ত্রী গণেশ যোশি গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, শহীদ হওয়া গান্ধী পরিবারের একচেটিয়া অধিকার নয়। ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ড ছিল ‘দুর্ঘটনা’। এনডিটিভি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৮৪ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ভারতের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পর তাঁর বড় ছেলে রাজীব গান্ধী দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। রাজীব গান্ধীর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী, ছেলে রাহুল গান্ধী ও মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কংগ্রেসের রাজনীতিতে সক্রিয়।

যোশি উত্তরাখন্ডে কৃষি, কৃষক কল্যাণ, গ্রামীণ উন্নয়ন ও সৈনিক কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি রাহুল গান্ধীর বুদ্ধিমত্তার জন্য করুণা করি। শহীদ হওয়া গান্ধী পরিবারের একচেটিয়া অধিকার নয়। স্বাধীনতাসংগ্রামে ভগত সিং, সাওয়ারকর ও চন্দ্র শেখর আজাদের শাহাদাত দেখেছিল ভারত। গান্ধী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যা ঘটেছিল, তা ছিল দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা ও শাহাদাতের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।’

গত সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শীর্ষক পদযাত্রা কর্মসূচির সমাপনীতে রাহুল গান্ধীর একটি বক্তব্যের বিষয়ে গতকাল সাংবাদিকেরা যোশিকে প্রশ্ন করেছিলেন। জবাব দিতে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

রাহুল গান্ধীর উদ্দেশে যোশি বলেন, কেউ তাঁর বুদ্ধিমত্তার মাত্রা অনুযায়ী কথা বলতে পারেন।

জম্মু-কাশ্মীরে রাহুল গান্ধীর পদযাত্রা সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কৃতিত্ব দেন তাঁর দল বিজেপির উত্তরাখন্ডের মন্ত্রী যোশি।

যোশি বলেন, এই কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর নেতৃত্বে ৩৭০ ধারা বাতিল না হলে, জম্মু ও কাশ্মীরে স্বাভাবিকতা না ফিরলে রাহুল গান্ধী লাল চকে জাতীয় পতাকা তুলতে পারতেন না।

দাদি ও বাবা নিহত হওয়ার তথ্য ফোনে জানার সময়ের কথা শ্রীনগরের অনুষ্ঠানে স্মরণ করেছিলেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, সহিংসতার প্ররোচনাকারীরা কখনোই এ ব্যথা বুঝতে পারবেন না।

রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, যারা সহিংসতা উসকে দেয়, যেমন মোদি, অমিত শাহ, বিজেপি, আরএসএস—এ ব্যথা কখনোই বুঝবে না। এ ধরনের ফোন যখন আসে, তার যে কী ব্যথা, তা একজন সেনাসদস্যের পরিবার বুঝবে, পুলওয়ামায় নিহত সিআরপিএফ কর্মীর পরিবার বুঝবে, বুঝবে কাশ্মীরিরা।