নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও
নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও

এবার ভারত-মিয়ানামার সীমান্ত বন্ধের বিরোধিতা নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

উত্তর-পূর্ব ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড-আইজ্যাক মুইভা (এনএসসিএন-আইএম) ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া দেওয়ার বিরোধিতা করার পর এবার মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও বললেন, সব পক্ষের কথা মাথায় রেখে একটি সমাধানের সূত্র খুঁজে বের করতে হবে।

গত বুধবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী রিও আজ শনিবার বলেন, ‘মানুষের সমস্যার সমাধানে আমাদের একটা উপায় বের করতে হবে। নাগাল্যান্ডের সঙ্গে মিয়ানমারের বিস্তীর্ণ সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্তের দুই দিকে নাগারা রয়েছে। অনুপ্রবেশের বিষয়টিকেও মাথায় রাখতে হবে এবং সবদিক বিবেচনা করে একটা উপায় বের করা দরকার।’

নেইফিউ রিওর দল ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (এনডিপিপি) এবং বিজেপি যৌথভাবে নাগাল্যান্ডে সরকার চালাচ্ছে। অর্থাৎ বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটের দল এবার খোলাখুলি বলল, ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে।

এর আগে উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্য একটি রাজ্য মিজোরামের সর্বোচ্চ সামাজিক সংগঠন ইয়াং মিজো অ্যাসোসিয়েশন (যার অন্য নাম সেন্ট্রাল ইয়াং মিজো অ্যাসোসিয়েশন) জানিয়েছিল, ভারত-মিয়ানমারের মধ্যে বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমাও বলেছিলেন, এই অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্তের তিনি বিরোধিতা করছেন। মণিপুরের কুকি আদিবাসীদের সর্বোচ্চ সামাজিক সংগঠন কুকি-ইনপিও একই সুরে সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল।

গত শনিবার আসাম পুলিশের কমান্ডো বাহিনীর ‘পাসিং ডে প্যারাডে’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গুয়াহাটিতে বলেছিলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতে মিয়ানমারের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত সিল করে দিতে চলেছে ভারত। এই সিদ্ধান্ত নরেন্দ্র মোদির সরকারের। পুরো সীমান্ত বাংলাদেশের মতো বেড়া দিয়ে বন্ধ করা হবে।

অমিত শাহ বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের যে অবাধ যাতায়াতের চুক্তি আছে, সেই চুক্তি ভারত সরকার পুনর্বিবেচনা করবে। দুই দেশের মধ্যে আসা-যাওয়ার ব্যবস্থাও বন্ধ হবে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যে প্রবল বিরোধিতা শুরু শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতে।