ভারতের ঝাড়খন্ডের মাদ্রাসাগুলোতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে রাজ্যটিতে ক্ষমতাসীন ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। আজ রোববার রাজ্যের বোকারো জেলায় একটি সমাবেশে দেওয়া ভাষণে এমন অভিযোগ করেছেন বিজেপির সভাপতি জে পি নাড্ডা।
ভাষণে বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘আমি এইমাত্র একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। এতে বলা হয়েছে, এখানকার (ঝাড়খন্ড) মাদ্রাসাগুলোয় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের আধার কার্ড, ভোটার আইডি, গ্যাস–সংযোগ ও রেশন কার্ড দেওয়া হচ্ছে। তারপর হেমন্ত সরেন (জেএমএম নেতা) সরকার তাঁদের জমিপ্রাপ্তির বিষয়টিও নিশ্চিত করছে।’
হেমন্ত সরেন ঝাড়খন্ডের পানি, জঙ্গল ও ভূমি লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ করেন জে পি নাড্ডা। তিনি বলেন, ‘এখানে অনুপ্রবেশ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। অনুপ্রবেশকারীরা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীদের বিয়ে করছেন এবং তাঁদের জমি দখল করে নিচ্ছেন। শুধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ অনুপ্রবেশ থামাতে পারেন।’
এ সময় জেএমএম, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ও কংগ্রেসকে দুর্নীতিবাজ লোকজনের একটি পরিবার বলে উল্লেখ করেন নাড্ডা। তিনি বলেন, ‘হেমন্ত সরেন এখন জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তিনি আবার কারাগারে যাবেন। তিনি ৫ হাজার কোটি রুপির খনি কেলেঙ্কারি, ২৩৬ কোটি রুপির ভূমি কেলেঙ্কারিসহ নানা কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত।’
জেএমএম নেতা হেমন্ত সরেনকে গত ৩১ জানুয়ারি অর্থ পাচার মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। উচ্চ আদালত জামিন মঞ্জুর করার পর ২৮ জুন তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।