কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফা ভোট হয়েছে। তবে আজকের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের গাড়িবহরে তৃণমূল সমর্থকদের হামলা। দিলীপ ঘোষ মন্তেশ্বরে যাওয়ার পথে হামলা চালান তৃণমূলের সমর্থকেরা। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন।
বীরভূমের ইলমবাজার ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মেমারিতে বিজেপি কর্মীদের মারধর করেছেন তৃণমূলের সমর্থকেরা। তাঁরা বড়ঞায় কংগ্রেস এজেন্টকে ঢুকতে না দিয়ে তাঁর মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছেন।
দুর্গাপুরে বিজেপি ও তৃণমূলের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। চাকদায় বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার ভোটকেন্দ্রে গেলে তৃণমূলের সমর্থকেরা ‘জয় বাংলা’ ও ‘গো–ব্যাক’ স্লোগান দেন। তেহট্টে তৃণমূল সমর্থকেরা বাঁশ দিয়ে বিজেপি সমর্থকদের পিটিয়েছেন।
এদিকে চাপড়ায় সিপিএম কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সাঁইথিয়ায় বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহাকে ঘিরে বিক্ষোভ করেছে তৃণমূল। এ সময় তারা ‘গো–ব্যাক’ স্লোগান দিয়েছে।
দুর্গাপুরে বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ই ভোটকেন্দ্রে গেলে তাঁকে ধাক্কা দিয়েছেন তৃণমূলের কর্মীরা। নলহাটিতে বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। বীরভূমের সিউরিতে বিজেপির নির্বাচনী অফিস ভেঙে দিয়েছে তৃণমূল। বকটুইতে কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
রাণীগঞ্জ ও তেহট্টে সিপিএম কর্মীকে মারধর করেছে তৃণমূল। তবে মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে দুটি বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি তৃণমূল। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় কংগ্রেস এজেন্টকে বসতে দেয়নি তৃণমূল। নদীয়ার চাপড়ায় ভোট না দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে তৃণমূল।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য বলেছেন, হতাশা থেকে এসব কাণ্ড ঘটিয়েছে তৃণমূল। তারা বুঝতে পেরেছে যে মানুষ আর এবার দুর্নীতিবাজ তৃণমূলকে ভোট দেবে না।
আজ এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গে তারকা প্রার্থীদের জমজমাট লড়াই হয়েছে। ভাগ্য নির্ধারিত হবে এই রাজ্যে তৃণমূলের মনোনয়ন দেওয়া দুই ভিন্ন রাজ্যের তিন তারকা প্রার্থীসহ ৭৫ প্রার্থীর।
এই তিন তারকা প্রার্থী হলেন ভারতের সাবেক প্রখ্যাত ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ, ইউসুফ পাঠান ও বলিউড তারকা শত্রুঘ্ন সিনহা। আজকের তারকা প্রার্থীর তালিকায় আরও রয়েছেন মহুয়া মৈত্র, রাজমাতা অমৃতা রায়, অভিনেত্রী শতাব্দী রায়, দিলীপ ঘোষ প্রমুখ।
শেষ তথ্য অনুযায়ী বোলপুরে ৭৭ দশমিক ৭৭, বহরমপুরে ৭৫ দশমিক ৩৬, কৃষ্ণনগরে ৭৭ দশমিক ২৯, রানাঘাটে ৭৭ দশমিক ৪৬, বর্ধমান-পূর্ব ৭৭ দশমিক ৩৬, বর্ধমান-দুর্গাপুর ৭৫ দশমিক শূন্য ২, আসানসোলে ৬৯ দশমিক ৪৩ ও বীরভূমে ৭৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।