বিজেপির নেতা বরুণ গান্ধীর কংগ্রেসে যোগদানের জল্পনায় জল ঢেলে রাহুল গান্ধী মঙ্গলবার বলেছেন, তাঁর আদর্শের সঙ্গে কংগ্রেসের আদর্শের আকাশ-পাতাল তফাত। এখানে এলে তাঁর সমস্যা হবে।
রাহুল বলেন, ভাই হিসেবে বরুণকে তিনি সাগ্রহে বুকে জড়িয়ে ধরবেন, কিন্তু কখনো তাঁর আদর্শকে সমর্থন করতে পারবেন না। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের দরজায় দাঁড়ানোর চেয়ে তাঁর গর্দান যাওয়া ভালো।
প্রথমে ভারত জোড়ো যাত্রা ও পরে কংগ্রেসে বরুণের যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে কিছুদিন থেকেই জল্পনা চলছে। বরুণ বেশ কিছুদিন ধরে বিজেপি ও সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করছেন। রাহুলকে এর আগেও এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জবাবে তিনি বলেছিলেন, ওই বিষয়ে দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে জিজ্ঞেস করতে। গতকাল পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে সংবাদ সম্মেলনে বরুণ-সংক্রান্ত প্রশ্ন না এড়িয়ে তিনি বলেন, বরুণ আরএসএসের আদর্শ গ্রহণ করেছিলেন, যা তিনি কোনো দিন করতে পারবেন না। রাহুল বলেন, ‘আমি ওকে নিশ্চয় বুকে জড়িয়ে ধরব, কিন্তু কিছুতেই ওর আদর্শে বিশ্বাসী হতে পারব না। কংগ্রেস ও আরএসএসের সঙ্গে আদর্শগত লড়াই অব্যাহত।’
বরুণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাহুল একটি ঘটনার কথাও শোনান। বলেন, ‘বহু বছর আগে বরুণ আমাকে বলেছিল, আরএসএস খুব ভালো কাজ করছে, তা শুনে আমি ওকে আমাদের পরিবারের ইতিহাস পড়তে বলেছিলাম। অনুভব করতে বলেছিলাম। বলেছিলাম, পারিবারিক ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আদর্শ বুঝতে পারলে এই মন্তব্য কখনো করতে পারতে না।’ তিনি বলেন, বরুণ হয়তো এখনো সেই আদর্শেই বিশ্বাসী।
রাহুল গান্ধীর বাবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নিজের ছোট ভাই সঞ্জয় গান্ধীর ছেলে বরুণ। তাঁর মা মানেকা গান্ধী ছিলেন বিজেপি সরকারের মন্ত্রী। বরুণ বিজেপিতে যোগ দেন ২০০৪ সালে।
মঙ্গলবারই হোশিয়ারপুরে ভারত জোড়ো যাত্রায় নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে এক যুবক রাহুলকে জড়িয়ে ধরেন। এ প্রসঙ্গে রাহুল জানান, ওই যুবক যাত্রাসঙ্গীই ছিলেন। নিরাপত্তারক্ষীদের যাচাইয়ের পর বৃত্তের মধ্যে ছিলেন। কিন্তু একটা সময় অতি উত্তেজিত হয়ে জড়িয়ে ধরেন। নিরাপত্তাবিধি ভঙ্গ করে যাত্রায় ঢুকে পড়েননি।