এনসিপির নেতা বাবা সিদ্দিক
এনসিপির নেতা বাবা সিদ্দিক

দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বাবা সিদ্দিকের, লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এক সদস্যের দাবি

বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ভারতের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা বাবা সিদ্দিক ভালো মানুষ ছিলেন না। তাঁর সঙ্গে ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। উত্তর প্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এক সদস্য এ দাবি করেছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম যোগেশ ওরফে রাজু। তাঁর বয়স ২৬ বছর। তিনি লরেন্স বিষ্ণোই-হাশিম বাবা গ্যাংয়ের জন্য কাজ করেন। গত মাসে দিল্লির বৃহত্তর কৈলাস এলাকায় নাদির শাহ নামের এক ব্যায়ামাগারের মালিককে হত্যার অভিযোগে রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে বাবা সিদ্দিকের খুনের ঘটনায় তিনি জড়িত ছিলেন না।

গত বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল এবং মাথুরা পুলিশের যৌথ দলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হন লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য রাজু। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পুলিশ একটি পিস্তল, গুলি ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে।

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে ১২ অক্টোবর গুলি করে হত্যা করা হয়। তাঁর ছেলের মুম্বাইয়ের কার্যালয়ের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুরমেল বালজিৎ সিং, ধর্মরাজ কাশ্যপ নামে দুজনকে আটক করে।  আটক বন্দুকধারীরা পুলিশকে বলেছে, বাবা সিদ্দিক ও তাঁর ছেলে জিশানকে হত্যার জন্য তাঁদের ভাড়া করা হয়েছিল। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন শিবকুমার।