ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন আতিশি মারলেনা। উপরাজ্যপাল বিনয় কুমার সাকসেনা শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় আতিশিকে শপথবাক্য পাঠ করান। একই দিনে শপথ নিলেন দিল্লি মন্ত্রিসভার আরও পাঁচ সদস্য।
আতিশি (৪৩) হলেন দিল্লির সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লির নারী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি তৃতীয়। তাঁর আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিজেপির সুষমা স্বরাজ ও কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিত।
আবগারি (মদ) মামলায় গ্রেপ্তার হলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়েননি। সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর তিনি অবশ্য মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। বলেন, আদালতের রায়ের পর জনতার রায়ের জন্য তিনি অপেক্ষা করবেন। তত দিন রাজ্য চালানোর জন্য আম আদমি পার্টির (আপ) পরিষদীয় দল নতুন নেতা বেছে নেবে। আতিশিই হলেন সেই নেতা।
গত মঙ্গলবার কেজরিওয়ালের সঙ্গেই আতিশি রাজভবনে যান। উপরাজ্যপালের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন কেজরিওয়াল, আতিশি তুলে দেন পরিষদীয় দলের সিদ্ধান্ত। সেই চিঠিতেই তিনি পরবর্তী সরকার গঠনের দাবি জানান।
আতিশির সঙ্গে শপথ নেন সৌরভ ভরদ্বাজ, গোপাল রাই, কৈলাশ গেহলট, ইমরান হুসেন ও মুকেশ আহওলাট। মুকেশ ছাড়া সবাই কেজরিওয়াল মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। দিল্লি বিধানসভার মোট সদস্য ৭০। সেই অনুপাতে মন্ত্রিসভার বহর হবে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। অর্থাৎ মোট ৭ জন।
দিল্লি বিধানসভার মেয়াদ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে। ফেব্রুয়ারিতে ভোট হলে আতিশি মন্ত্রিসভার স্থায়িত্ব হবে চার মাসের কিছু বেশি। পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, তাঁর লক্ষ্য কেজরিওয়ালকে আবার মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখা। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্যই তিনি কাজ করবেন।
পদত্যাগ করার পর উপরাজ্যপালকে কেজরিওয়াল অবশ্য বলেছিলেন নভেম্বর মাসে মহারাষ্ট্র বিধানসভার সঙ্গেই যেন দিল্লির নির্বাচন করানো হয়। মহারাষ্ট্র ছাড়াও ওই সময় ঝাড়খন্ড বিধানসভারও ভোট।